Home খবর বাংলাদেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন ডঃ মহম্মদ ইউনুস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন ডঃ মহম্মদ ইউনুস

শপথ নিচ্ছেন ইউনুস। ছবি প্রথম আলো

বাংলাদেশে গঠিত হল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মহম্মদ ইউনুস। বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গভবনে স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। ডঃ ইউনুসের সঙ্গে শপথ নেন আরও ১৩ জন সদস্য। তবে তিনজন সদস্য বিশেষ কারণে আজ শপথ নিতে পারেননি। সবমিলিয়ে ইউনুসের নেতৃত্বে মোট ১৬ জন সদস্য থাকবেন এই অন্তর্বর্তী সরকারে। সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হিন্দুদের নিরাপত্তার করা মনে করালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকার বঙ্গভবনের দরবার হলটি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। নোবেলজয়ী ইউনুস প্যারিস থেকে ঢাকায় ফিরে এসে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ১০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তারপর সরাসরি বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ও প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, প্রাক্তন বিদেশ সচিব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি।

এই নতুন সরকারের গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং মনে করি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

মিলার আরও বলেন, “আমরা সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাই এবং সামনের দিনগুলোতে আমরা হিংসা বন্ধের জন্য কাজ করব।”

অন্তর্বর্তী সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ”নতুন দায়িত্ব নেওয়া অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য শুভকামনা। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের যে অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা, তা পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে ভারত।”

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version