যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ইজরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ৭২ জন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে। এই হামলা অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
যুদ্ধবিরতির পরও হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই হামলার ঘটনা চুক্তির কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ১২ জন শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের বাসিন্দা।
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) প্রথমে দাবি করেছিল যে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ইজরায়েলে “একটি ছিটকে পড়া ক্ষেপণাস্ত্র” শনাক্ত করা হয়েছিল, তবে পরে জানানো হয় এটি ভুল শনাক্ত করা হয়েছিল।
একটি মহলের দাবি, এর আগেও যুদ্ধবিরতির আগে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। সর্বশেষ লেবাননে, যেখানে নভেম্বর মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ঠিক আগে বৈরুটে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারই সংসদে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের কথা ছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তবে তাঁর দফতর অভিযোগ করেছে যে চুক্তির কিছু শর্ত লঙ্ঘন করেছে হামাস। যার ফলে “শেষ মুহূর্তের জটিলতা” তৈরি হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, হামাস চুক্তির সমস্ত শর্ত মেনে না নেওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবে না।
অন্য দিকে, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক শীর্ষস্থানীয় হামাস কর্মকর্তা বলেছেন যে তাঁদের সংগঠন মধ্যস্থতাকারীদের ঘোষিত চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হামাসের প্রতিনিধি খলিল আল-হাইয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে কাতার এবং মিশরকে সমস্ত শর্ত মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে ইজরায়েলের কট্টরপন্থী দুই মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গিভির কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সরকার থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু চুক্তিটি কার্যকর করতে চাইলে তাঁদের পদত্যাগের ঘটনা চুক্তিতে কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না।