এয়ারটেল, বিএসএনএল, জিও, এবং ভোডাফোন আইডিয়ার মতো টেলিকম সংস্থাগুলোকে কলার আইডি নেম প্রেজেন্টেশেন (CNAP) পরিষেবা দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছে টেলিকম বিভাগ (DoT)। এই সংস্থাগুলো গত বছর থেকেই এই ফিচার পরীক্ষা করছে, যা ব্যবহারকারীদের ইনকামিং কল সহজে চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। প্রতারণামূলক কল এড়ানোর জন্য দ্রুত এই প্রযুক্তি চালু করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
গত সপ্তাহে টেলিকম সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সময় ডট জানিয়েছে, বর্তমানে সিএনএপি-র ট্রায়াল চলছে। তবে এটি মূলত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী হবে, টু-জি ফিচার ফোনে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে না। সিএনএপি চালু হলে কলারের সিম কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত নাম রিসিভারের ফোনে ভেসে উঠবে, ফলে ভুয়ো কল করা কঠিন হয়ে পড়বে।
আধার বায়োমেট্রিক যাচাই ছাড়া যাতে নতুন সিম কার্ড ইস্যু না করা হয়, সে ব্যাপারে ডট-কে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। এই পদক্ষেপ জাল নথি ব্যবহার করে সিম কার্ড বিতরণ বন্ধ করতে এবং প্রতারণার ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে।
সিএনএপি হল একটি সম্পূরক পরিষেবা, যা ফোন স্ক্রিনে কলারের নাম দেখাবে। বর্তমানে থার্ড-পার্টি অ্যাপ যেমন Truecaller এবং Bharat Caller ID & Anti Spam-এর মতো কলিং পার্টি নেম আইডেন্টিফিকেশন (CPNI) পরিষেবা। কিন্তু এটা ততটা ভরসাযোগ্য নয়, কারণ এটি জনসাধারণের তথ্যের উপর নির্ভর করে বিষয়টি পরিচালিত হয়।
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই (TRAI) এ বার সিএনএপি-র সুপারিশ করেছে, যাতে ব্যবহারকারীদের কেওয়াইসি নথিতে থাকা নাম কলারের পরিচয় নির্ধারণে ব্যবহার করা যায়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইনকামিং কলে কলারের নাম সেই তথ্য অনুযায়ী দেখানো হবে, যা সিম কেনার সময় দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে প্রকৃত কল ও প্রতারণামূলক কল আলাদা করা সহজ হবে।