আরও জটিল হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস সংঘাত। প্যালেস্তনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস শাসিত গাজা ধ্বংসের মারাত্মক পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্ধ ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা।
গত ৭ অক্টোবর প্রথম ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস। পর পরই কড়া জবাব দেয় ইজরায়েল। যা এখনও অব্যাহত। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ। এরই মধ্যে গাজায় নিজের অভিযান সম্প্রসারণ করেছে ইজরায়েল। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে এ বার গাজায় স্পঞ্জ বোমা প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে তারা।
গাজায় টানা দুই রাত ট্যাঙ্ক হামলার পর এ দিন সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি ঘোষণা করেছেন, “আগের ধারাবাহিক হামলার পর, স্থল বাহিনী আজ রাতে স্থল অভিযান বাড়াচ্ছে।” উল্টো দিকে, “পূর্ণ শক্তি” দিয়ে হামলা মোকাবিলার অঙ্গীকার করেছে হামাস। তারা বলেছে, “আল-কাসাম ব্রিগেড এবং সমস্ত প্যালেস্তেনীয় প্রতিরোধ বাহিনী সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে (ইজরায়েলের) আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে এবং তার অনুপ্রবেশ পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে সবদিক থেকে প্রস্তুত”।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় নিজের সবচেয়ে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। পুরো উপত্যকা জুড়ে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, হামাস একটি হাসপাতালের ভিতর আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকেই তারা পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস বাহিনী।
ইজরায়েল সরকারের দাবি, হামাসের হামলায় সেদেশের ১,৪০০ জনের বেশি মারা গিয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক। অন্য দিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, গাজা উপত্যকায়, ইজরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় অন্তত ৭,৩২৬ জন নিহত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
সবমিলিয়ে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধপরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। ইজরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সহ রাশিয়া ও চিন মার্কিন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
পাশাপাশি, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে জর্ডানের খসড়া প্রস্তাবে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কোনো উল্লেখ করা হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে ওই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে বিরত থাকে ভারত। এ ছাড়াও, যেসব দেশ বিরত ছিল তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, জাপান, ইউক্রেন এবং যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: মার্কিন শহরের বন্দুক-হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি শনাক্ত, এখনও বেপাত্তা