রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। অস্ত্র ব্যবহারের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ। আমেরিকার দাবি, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের উপর বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের বাহিনীর বিরুদ্ধে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করছে রাশিয়া।
আমেরিকার অভিযোগ, ‘যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসাবে’ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের উপরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত ক্লোরোপিক্রিন নামে একটি ‘শ্বাসরোধকারী এজেন্ট’ এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করছে।
বলে রাখা ভালো, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের অধীনে যুদ্ধে এই গ্যাসগুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়া-সহ বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। তবে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে তাদের একটি সুরক্ষিত অবস্থান থেকে সরিয়ে দিয়ে ফয়দা তোলার জন্যই রাশিয়ার তরফে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ পরিকল্পনা করেই এই কাজটি করা হয়েছে বলে দাবি আমেরিকার।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরও জানিয়েছে, এ ব্যাপারে নিজের মতো করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাশিয়াকে রাসায়নিক এবং জৈবিক অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত এমন তিনটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাবে তারা।
অন্যদিকে, আমেরিকার এই অভিযোগ ওঠামাত্রই অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের একটি পোস্টে লেখেন, এ ধরনের অভিযোগ ‘জঘন্য এবং অপ্রমাণিত’।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রাশিয়া এই চুক্তি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। তাঁর কথায়, “এই ধরনের বিবৃতি (আমেরিকার) একেবারেই ভিত্তিহীন…এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে রাশিয়া।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। তার পর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে ইউক্রেন। গত ফেবরুয়ারি মাসে রুশ বাহিনীর দ্বারা সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রায় ২৫০টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়। যা ২০২৩ সালের মার্চের থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি!
আরও পডুন: এ বার সমুদ্র তোলপাড় করবে চিন! বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ নিয়ে আমেরিকাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ বেজিংয়ের