ইজরায়েল লক্ষ্য করে অগুন্তি রকেট নিক্ষেপ করেছে প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইজরায়েলে হামাসের রকেট হামলায় ৭০০ মানুষ মারা গেছে। ইজরায়েলের স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৯০৮ জন আহত। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের। পাল্টা ইজরায়েলি সেনার হাতে ৪১৩ জন হামাসের নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হামলাকে যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যুদ্ধে আমরাই জিতব।’’ তাঁর দাবি, “হামাস সন্ত্রাসবাদীরা ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে। আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং এর জন্য তাদের ভারী মূল্য চোকাতে হবে”। তার পর থেকে দু’পক্ষের মুহুর্মুহু হামলায় বিপর্যস্ত ইজরায়েল, প্যালেস্তাইন।
জানা গিয়েছে, হামাসের হামলায় রবিবার পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ইজরায়েলি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৭ জন সামরিক কর্মী ও ৩৪ জন পুলিশ সদস্য। প্যালেস্তেনীয় ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর নেতা জিয়াদ নাখলেহ জানি.এছেন, গাজায় ৩০ জন ইজরায়েলি নাগরিককে বন্দি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইজরায়েলের কারাগারে বন্দি সমস্ত প্যালেস্তেনীয় বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আটকদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলি সেনা এবং সাধারণ নাগরিককে বন্দি করে তাঁদের ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করছে হামাস। হামাসের তরফে মুখপাত্র খালেদ কাদোমি জানান, প্যালেস্তাইনের উপর দীর্ঘ দিনের নৃশংসতার বদলা নেওয়া হচ্ছে। প্যালেস্তেনীয় ভূখণ্ডে ইজরায়েলের সেই অত্যাচার বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী স্বীকার করেছে যে শনিবার ইজরায়েলে হামাসের হামলা ছিল আচমকা। আইডিএফ আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট একটি ভিডিয়োতে বলেছেন, ইজরায়েলের উপর হামাসের হামলা অবাক করে দেওয়ার মতোই। তিনি আরও বলেন, “আমরা এই হামলার কঠোর জবাব দেব”।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইজরায়েলে হামাসের এই হামলা ৯/১১-এর মতো, যা আমেরিকায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। তিনি বলেন, হামাস ইজরায়েলকে ধ্বংস করতে চায়। প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলের শিশু এবং বৃদ্ধদের নিশানায় রেখে এই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, শনিবারের হামলার পর থেকে উভয় পক্ষের এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ: শুরু মৃত্যুমিছিল, দু’দেশে নিহত অন্তত ৩০০