ইজরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিল ইরান। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, “যেকোনো আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপের জন্য সে একটি সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে” ইজরায়েলেকে। তাসনিমের রিপোর্টে সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের প্রতিটি আঘাতের জন্য ইরান উপযুক্ত জবাব দেবে।
শনিবার ভোরে ইরানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইজরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। এর পরই ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানকে সতর্ক করে জানিয়েছে, নতুন করে উত্তেজনা বাড়ালে ইরানকে চড়া মূল্য চোকাতে হবে। তবে ইরানের মতে, ইজরায়েলের আক্রমণে “সীমিত ক্ষতি” হয়েছে।
শনিবার সকালে ইরানের রাজধানী তেহরান এবং এর আশপাশে “জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ” শোনা যায়। ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানায়, বিস্ফোরণের কারণ ছিল তাদের “আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়া”। একইসঙ্গে, ইজরায়েলের “তিনটি অবস্থান থেকে হামলার” চেষ্টা প্রতিহত করার জন্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল বলে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন দাবি করেছে।
তেহরান ছাড়াও তেহরানের কাছাকাছি কারাজ শহর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ইরানের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলের এই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সির দাবি। তবে ইরানের অন্যতম প্রধান তেল শোধনাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো স্বাভাবিক ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি ইজরায়েলি নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন এবং ইজরায়েলের এই হামলাকে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি আরো জানান, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণাত্মক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় করা হয়েছে এবং ইজরায়েলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা এই হামলার পরবর্তী নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছেন। অন্য দিকে, ইরান তাদের সব ধরনের বিমান পরিষেবা স্থগিত করেছে। ইরানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ইজরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে যে, যেকোনো হামলার প্রতিশোধ অত্যন্ত কঠোর ভাবে নেওয়া হবে।
