জোহানেসবার্গে জি-২০ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের ছবি শেয়ার করে জয়শঙ্কর এক্স-এ লেখেন, “জি-২০ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের সুবাদে আজ সকালে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা, বিমান সংযোগ ও ভ্রমণ সুবিধা নিয়ে দুই দেশের মন্ত্রী আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
গালওয়ান সংঘর্ষের পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা
দুই দেশের মধ্যে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জি-২০-তে বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতি নিয়ে জয়শঙ্করের বার্তা
বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব রাজনীতির পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, জি-২০ হল বিশ্বের ক্রমবর্ধমান বহুমেরুত্বের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, “বিশ্ব পরিস্থিতি এখন জটিল। কোভিড মহামারির পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, সংঘাত, আর্থিক চাপ, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে পরিস্থিতি কঠিন হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বৈশ্বিক এজেন্ডা এগিয়ে নিতে জি-২০-র ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি”।
ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি ও ভূ-রাজনীতি
জয়শঙ্কর বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), বৈদ্যুতিক যানবাহন, মহাকাশ গবেষণা, ড্রোন এবং গ্রিন হাইড্রোজেনের অগ্রগতি ভবিষ্যতে বৈশ্বিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।”
এছাড়া তিনি পশ্চিম এশিয়া, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, ইউক্রেন সংঘাত, ইন্দো-প্যাসিফিক এবং জাতিসংঘ সংস্কারের বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন।
জি-২০-তে রয়েছে ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন
জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান ফোরাম হিসেবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সদস্য দেশগুলি হল: আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।