লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জাতীয় আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে। সোমবার তারা জানিয়েছে, সপ্তাহের মাঝামাঝি ঝোড়ো হাওয়া ৭০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছতে পারে, যা আগুনের দ্রুত বিস্তার ঘটাতে পারে। মঙ্গলবারকে সবচেয়ে বিপজ্জনক দিন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি
বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে তিনটি বড় দাবানল জ্বলছে। ৪০,০০০ একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে গেছে এবং ১,৫০,০০০ বাসিন্দা ঘরছাড়া। সবচেয়ে বড় আগুন, পালিসেডস দাবানল, মাত্র ১৩% নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অন্যদিকে, ইটন দাবানল, যা এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, ২৭% নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কীভাবে শুরু হয়েছিল দাবানল?
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) প্রবল উপকূলীয় ঝোড়ো হাওয়া এবং অতিরিক্ত শুষ্ক অবস্থার কারণে এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। এই অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় মাত্র ১০% বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ক্যালিফোর্নিয়ার খরার মধ্যে থাকা জলবায়ু চক্রকে দাবানলের অন্যতম কারণ হিসাবে দেখছেন।
লুটপাট ও প্রতারণা রোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নামে প্রতারণা এবং লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করেছে লস অ্যাঞ্জেলেসের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যেই নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও বেশ কিছু মামলা চলছে। এদের মধ্যে কিছু অভিযুক্ত তিন জন আইন অনুসারে আজীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সহায়তা এবং বিতর্ক
দাবানল পরবর্তী পুনর্গঠনে কংগ্রেসের কাছে অতিরিক্ত তহবিল চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী ১৮০ দিনের জন্য ফেডারাল সরকার পুনর্গঠনের বেশিরভাগ ব্যয় বহন করবে বলে জানানো হয়েছে। তবে হাউস স্পিকার মাইক জনসন এই তহবিলের জন্য শর্তের দাবি তুলেছেন, যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
দাবানলের পরিণতি থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।