ওয়াশিংটন: নবগঠিত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন শুক্রবার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত বিদেশি সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে শুধুমাত্র ইজরাইল ও মিশর। এএফপি সূত্রে জানা গেছে, এই আদেশে জরুরি খাদ্য ও সামরিক তহবিল ইজরাইল ও মিশরের জন্য চালু থাকবে।
এক অভ্যন্তরীণ মেমোতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও উল্লেখ করেছেন, “নতুন কোনো তহবিল বরাদ্দ বা বিদ্যমান তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধি অনুমোদনের আগে তা পর্যালোচনা এবং অনুমোদন করতে হবে।” এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
ইউক্রেনসহ অন্যান্য দেশের ধাক্কা
এই সিদ্ধান্তের ফলে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সমস্ত খাতেই প্রভাব পড়বে। ইউক্রেন, যা ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের অধীনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়েক কোটি ডলারের অস্ত্র পেয়েছিল, এবার এই সহায়তা হারাতে পারে।
এএফপি জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে পেপফার (PEPFAR) কর্মসূচিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই উদ্যোগটি ২০০৩ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের অধীনে শুরু হয়েছিল এবং এটি প্রধানত আফ্রিকার দেশগুলিতে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।

ইজরাইল ও মিশরকে ছাড়
মেমোতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে ইসরাইলের সামরিক সহায়তায় কোনো প্রভাব পড়বে না। গাজা যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইলের জন্য মার্কিন অস্ত্র সহায়তা আরও বাড়ানো হয়েছে। মিশর, যা ১৯৭৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে উল্লেখযোগ্য মার্কিন প্রতিরক্ষা সহায়তা পেয়ে আসছে, তারাও এই নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।
এছাড়া মার্কো রুবিও জরুরি খাদ্য সহায়তাকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রেখেছেন, যা সুদান ও সিরিয়ার মতো সংকটময় দেশগুলোতে পাঠানো হয়।
অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার নির্দেশ
মেমোতে বলা হয়েছে, ৮৫ দিনের মধ্যে সমস্ত বিদেশি সহায়তার অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা সম্পন্ন করতে হবে। মার্কো রুবিও লিখেছেন, “বিদেশি সহায়তা কার্যকর কিনা এবং তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিদেশনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, তা মূল্যায়ন করা জরুরি।”
আর্থিক তথ্য
২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬৪০ কোটি ডলারের বেশি বিদেশি সহায়তা দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় অঙ্ক। তবে ২০২৪ সালের তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি।