মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর দ্বিগুণ শুল্ক চাপিয়ে দিলেন। গত মাসে ঘোষণা করা ২৫ শতাংশ শুল্কের পর, এবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত থাকায় এই ‘শাস্তিমূলক’ শুল্ক চাপানো হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।
এই ঘোষণার পরই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাণিজ্য মহলে। কারণ, এত উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রতিযোগিতা অনেকটাই কমে যাবে। জৈব রাসায়নিক, গয়না, বস্ত্রজাত পণ্য, যন্ত্রপাতি, আসবাব, লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো প্রধান রপ্তানি পণ্যের উপরে এখন থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। যানবাহনের উপর ২৬ শতাংশ এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের উপর ৬.৯ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে।
তবে এই চাপের মধ্যেই আশার কথা শোনালেন ভারতের প্রাক্তন G20 শেরপা এবং নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত। এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি লিখেছেন, “ট্রাম্প আমাদের সামনে একটি যুগান্তকারী সংস্কারের সুযোগ এনে দিয়েছেন। এই সঙ্কটকে পুরোপুরি কাজে লাগানো উচিত।”
ট্রাম্প নিজে তাঁর Truth Social-এ লেখেন, “ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ওদের সঙ্গে তেমন বাণিজ্য হয়নি। কারণ ভারতের শুল্ক খুব বেশি এবং অ-মূল্যভিত্তিক প্রতিবন্ধকতাও সবচেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে, ভারত রাশিয়ার সবচেয়ে বড় জ্বালানি ও অস্ত্র ক্রেতা, যা ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর এই সময়ে একেবারেই কাম্য নয়।”
Trump has provided us a once in a generation opportunity to take the next big leap on reforms.
— Amitabh Kant (@amitabhk87) August 6, 2025
Crisis must be fully utilised.
এই শুল্কের প্রথম দফা আজ, ৭ আগস্ট সকাল ৯:৩০টা থেকে কার্যকর হচ্ছে। বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে ২১ দিনের মধ্যে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যের উপর বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘরোয়া শিল্পকে আরও উন্নত করার প্রেরণা দিতেও পারে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।