Home খবর বিদেশ আমেরিকায় অভিবাসন নীতি কঠোর করলেন ট্রাম্প, সেনেটে বিল পাশ

আমেরিকায় অভিবাসন নীতি কঠোর করলেন ট্রাম্প, সেনেটে বিল পাশ

ওয়াশিংটন: শপথ নিয়েই অবৈধ ভাবে প্রবেশ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, এবং অ্যাসাইলামের সুযোগ বন্ধের ঘোষণা করেন।

সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমাদের দেশে বেআইনি প্রবেশ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা লাখ লাখ অপরাধী অভিবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করব।”

ট্রাম্প জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে জানান যে, আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী কারও নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করতে তিনি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত কঠোর আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে স্বীকার করেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আন্না কেলি বলেন, প্রশাসন মেক্সিকো সীমান্তে আগের ‘মেক্সিকোতে থাক’ নীতি পুনর্বহাল করবে। এই নীতির আওতায় অভিবাসন আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে হবে।

এই নির্দেশের পর মেক্সিকো সীমান্তে অপেক্ষারত অভিবাসীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কিউবার ২৭ বছর বয়সী ইয়াইম পেরেজ বলেন, “আমরা এত পরিশ্রম করে এখানে এসেছি। দয়া করে আমাদের প্রবেশ করতে দিন।”

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে একটি বিল পাস হয়েছে, যা আইনে পরিণত হলে অভিবাসন সংক্রান্ত সংস্থা ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্‌স এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই) অভিবাসীদের আটক করার ক্ষমতা পাবে।

গত বছর জর্জিয়ার ২২ বছর বয়সী নার্সিং শিক্ষার্থী লেকেন রাইলি হত্যার অভিযোগ উঠেছিল ভেনিজুয়েলার এক নাগরিকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থীর নামেই এই আইন প্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। সেনেটে বিলটি ৬৪-৩৫ ভোটে পাস হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ জন ডেমোক্র্যাটও এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছেন।

এখন বিলটি হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ্‌সে পাঠানো হবে। সেখানেও সহজেই এটি পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুই কক্ষে অনুমোদনের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সই করলে এটি আইনে পরিণত হবে।

এই আইনের অধীনে, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট বা দোকান থেকে মালামাল চুরির মতো অপরাধে অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করার ক্ষমতা পাবে আইসিই। কোনও প্রদেশের প্রশাসন অভিবাসন আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হলে, সেই প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন।

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version