মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরাকি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বিত অভিযান। ইরাকের আল আনবার প্রদেশে একটি নির্ভুল বিমান হামলা। নিহত আইএস (ইসলামিক স্টেট) সন্ত্রাসী সংগঠনের গ্লোবাল অপারেশন প্রধান আবদাল্লাহ মাক্কি মুসলিহ আল-রিফাই ওরফে ‘আবু খাদিজা’।
১৩ মার্চ পরিচালিত এই হামলায় আরও একজন আইএস সদস্য নিহত হয়। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, আবু খাদিজা বিশ্বব্যাপী আইএস-এর অস্ত্র সরবরাহ, পরিকল্পনা ও অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং ইরাকি বাহিনী হামলার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে। দু’জনের শরীরে অবিস্ফোরিত আত্মঘাতী বেল্ট ও অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আবু খাদিজার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। যার নমুনা আগের এক অভিযানের সময় সংগ্রহ করা হয়েছিল।
মার্কিন সেন্টকম কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেন, “আবু খাদিজা আইএস-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। আমরা সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে এবং তাদের সংগঠন ধ্বংস করতে আমাদের অভিযান চালিয়ে যাব।”
CENTCOM Forces Kill ISIS Chief of Global Operations Who Also Served as ISIS #2
— U.S. Central Command (@CENTCOM) March 15, 2025
On March 13, U.S. Central Command forces, in cooperation with Iraqi Intelligence and Security Forces, conducted a precision airstrike in Al Anbar Province, Iraq, that killed the Global ISIS #2 leader,… pic.twitter.com/rWeEoUY7Lw
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “খাদিজা ছিলেন ইরাক ও বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদী।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে আবু খাদিজাকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করে এবং তাঁকে ইরাক-সিরিয়ার আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকার তথাকথিত গভর্নর হিসেবে চিহ্নিত করে।
সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যকলাপে সাহায্য ও ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।