দামাস্কাস: সিরিয়ায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উত্তাল পরিস্থিতি। দীর্ঘ দুই দশকের শাসনের পর ক্ষমতা হারিয়ে সিরিয়া ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)-এর দখলে চলে গেছে রাজধানী দামাস্কাস। এই সুযোগে রবিবার সিরিয়ায় আইসিস ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ার অন্তত ৭৫টি আইসিস ঘাঁটিতে আকাশপথে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আইসিস ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিরিয়ার মসনদের শূন্যতাকে কাজে লাগাতে পারে। আমেরিকা তা হতে দেবে না।’’ দক্ষিণ-পূর্ব সিরিয়ায় মোতায়েন থাকা ৯০০ সেনার মাধ্যমে এই হামলা চালানো হয়।
আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির বিষয়ে বাইডেন মন্তব্য করেন, ‘‘এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। এটি সিরিয়ার জনগণের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’’
অন্য দিকে, সিরিয়ার রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে গোলান মালভূমি দখল করেছে ইজরায়েল। ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সকে (আইডিএফ) সিরিয়ার অংশে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘‘কোনও শত্রু শক্তিকে নিজেদের সীমান্তে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না।’’
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী। সম্প্রতি লেবাননে ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। একের পর এক শহর দখল করতে করতে তারা রাজধানীতে প্রবেশ করলে দেশ ছেড়ে পালান আসাদ।
বর্তমান পরিস্থিতি সিরিয়ায় নতুন সংকট তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক মহল এই সংঘাতের দিকে সতর্ক নজর রাখছে।
বাশার আল আসাদ কোথায়? সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন