Home খবর কলকাতা কম্পমান কলকাতা! বর্ষবরণের রাত না কি দীপাবলি

কম্পমান কলকাতা! বর্ষবরণের রাত না কি দীপাবলি

0
মাঝরাতে পার্ক স্ট্রিট। ছবি: রাজীব বসু

কলকাতা: বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের সন্ধিক্ষণে কম্পমান কলকাতা! বিকেল থেকেই সাউন্ড বক্সে ডিজে-র তারস্বরে গান। বাজির আওয়াজে কেঁপে উঠল উত্তর থেকে দক্ষিণ। রাস্তা, অলিগলি, মাঠে, পার্কে, কমন ছাদে বাজিতে-বাজিতে বাজিমাত। মিহি, মোটা, হেঁড়ে, কেশো গলায় ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। এই তো সেই দিন, চেটেপুটে হুল্লোড়, আনন্দ এনজয় করার আকণ্ঠ মস্তি।

৩১ ডিসেম্বরে রাতে ইংরাজি বর্ষবরণের জোরদার উৎসব। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠেছিল কলকাতা। পার্ক স্ট্রিট-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়তি উপকরণের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় আয়োজিত হল জলসা অথবা খানাপিনার আসর। তবে এ শহরে এখন ইংরাজি নতুন বছর আসে সশব্দে। রাত ১২টার কাঁটা সামান্য টিক করে সরতেই ইংরাজির বর্ষবরণ, সশব্দ ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ টালা টু টালিগঞ্জ, মানে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, শহর থেকে শহরতলী, শব্দবাজির দাপট!

নাইট ক্লাব-পাবগুলিতে দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতোই। তবে সেগুলোর থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে গিয়েছে পাড়ায় পাড়ায় মঞ্চ বেঁধে ছিল ডিজে-পিবি বক্সের দাপাদাপি। অনেকে বলছেন, আগের দু’বছর করোনা মহামারির জন্য প্রাণ (?) খুলে আনন্দ মাতোয়ারা হওয়া যায়নি। তাই এ বার একটু বেশিই হল!

আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ষবরণের রাতে পাটুলি, কসবা, বিরাটি এ সব এলাকায় শব্দের দাপটি ছিল সবচেয়ে বেশি। গড়ে ৭০ ডেসিবলের উপরে। পাটুলিতে শব্দের তীব্রতা ছিল ৮১.৫ ডেসিবল। বাগবাজার ৬৯, সল্টলেকে ৬৮.৩, টালিগঞ্জে ৬৬ এবং নিউ মার্কেট এলাকায় শব্দের তীব্রতা ছিল ৬৪.৪ ডেসিবল। শহরের যে কোনও হাসপাতাল চত্বরে শব্দের মাত্রা রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা অবধি ৪০ ডেসিবলের বেশি হওয়ার কথাই নয়। সেখানে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে তীব্রতা ছিল ৬১.৫। তুলনায় এসএসকেমের সামনে শব্দের তীব্রতা ছিল কম। সেখানে শব্দের তীব্রতা ছিল ৪৫.১ ডেসিবল।

অন্য দিকে, আতসবাজি এবং শব্দবাজি পোড়ানো শুরু হতেই কলকাতায় খারাপ হয়েছে বায়ুর মান। রাত ১২টার পর বায়ুসূচকের মান ছিল যথাক্রমে, ফোর্ট উইলিয়ামে ১৭১ (সহনীয়), রবীন্দ্র সরোবরে ২২৫ (খারাপ), বালিগঞ্জে ২৮৫ (খারাপ), যাদবপুরে ২৭৪ (খারাপ), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩২০ (খুব খারাপ), ভিক্টোরিয়া চত্বরে ৩১৫ (খুব খারাপ) এবং বিধাননগরে ৩৩১ (খুব খারাপ)।

তবে শুধু কলকাতা নয়, সন্ধ্যার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজি ফাটানো শুরু হয়ে যায়। রাত যত গড়িয়েছে শব্দবাজির তাণ্ডব ততই বেড়েছে। যাবতীয় নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এ বারও বর্ষবরণের রাতে ফাটানো হল দেদার শব্দবাজি, যা এ রাজ্যে নিষিদ্ধ। শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে প্রশাসনের তরফ থেকেও তেমন জোরালো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩! নতুন বছরে নতুন সুরের প্রত্যাশা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version