Home খবর কলকাতা দুই বিধায়কের শপথকে অসংবিধানিক বলে রাজ্যপালের চিঠি রাষ্ট্রপতিকে, গুরুত্বই দিচ্ছেন না স্পিকার

দুই বিধায়কের শপথকে অসংবিধানিক বলে রাজ্যপালের চিঠি রাষ্ট্রপতিকে, গুরুত্বই দিচ্ছেন না স্পিকার

কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ নিয়ে রিপোর্ট রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়েছেন। শুক্রবার সদ্য জয়ী দুই বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দায়িত্ব রাজ্যপাল দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকারকে। কিন্তু তিনি স্পিকারের উপস্থিতিতে তা করতে অস্বীকার করায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করার দু’জনকে। এই কাজ রাজ্য ‘অসংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছেন।

রিপোর্ট পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খুব আনন্দের কথা। আমি আরও খুশি হতাম, যদি উনি আগেই এটা করতেন। কারণ রাষ্ট্রপতিজিকে আমরা আগে জানিয়েছি।”

শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় করান। কিন্তু এ নিয়ে দুপুর থেকেই নতুন করে শুরু হয়েছে বিধানসভা বনাম রাজভবনের ‘ঠান্ডা লড়াই’। বৃহস্পতিবার, রাজ্যপাল দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের জন্য ডেপুটি স্পিকারকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন, কিন্তু তিনি বিধানসভায় ঘোষণা করেন যে, স্পিকারের সামনে তিনি ওই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাঁর অনুরোধেই সায়ন্তিকাদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান। একই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁর শপথবাক্য পাঠ করানোর কোনো ভুল নেই। ‘রুলস অফ বিজনেস’-এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি সায়ন্তিকাদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। যেহেতু বিধানসভার অধিবেশন চলছিল, তাই রাজ্যপালের ওই চিঠি মান্যতা পায়নি।

স্পিকারই কাটালেন জট, শপথ নিলেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত

স্পিকারের এই কাজে ‘সংবিধানকে অমান্য’ করা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠান রাজ্যপাল। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সে কথাও জানান। এই পোস্ট সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে স্পিকার বলেন, “রাজ্যপালের কোনও সমাজমাধ্যম পোস্টের জবাব আমি দেব না। আমি যা করেছি আইনসঙ্গত ভাবেই করেছি। আর তা বিধানসভায় নথিভুক্তও হয়ে গিয়েছে।”

এর পরে স্পিকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠানোয় এ নিয়ে নতুন করে কোনো জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? জবাবে বিমান খানিক আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, “রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই স্পিকারকে অপসারণ করার। আর রাষ্ট্রপতিরও সেই ক্ষমতা নেই।”

রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি নিয়ে বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শেষ ভাল যার সব ভাল তার। এই জটিলতার দরকার ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করানো হোক।” অন্য দিকে রেয়াত হোসেন বলেন, “উনি চিঠি পাঠাতেই পারেন। এই বিষয়টি স্পিকার দেখবে।”

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version