অবশেষে শর্তসাপেক্ষে খুলতে চলেছে কলকাতার রুফটপ রেস্তরাঁ। তবে এবার আর শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের প্রাণরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, “মানুষের প্রাণের বিনিময়ে ব্যবসা চলতে পারে না। ছাড়পত্র চাইলে নিয়ম মানতেই হবে।”
পুজোর আগে খুলছে, তবে শর্ত মেনে
রাজ্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন করে কোনও রুফটপ রেস্তরাঁ অনুমোদন পাচ্ছে না। তবে আগে থেকে চালু থাকা রেস্তরাঁগুলি পুজোর আগেই খুলতে পারবে। শর্ত অনুযায়ী—
- রুফটপের অন্তত ৫০% এলাকা খালি রাখতে হবে।
- যেদিকে হাইড্রোলিক ল্যাডার ঢুকবে, সেদিকের ৫০% জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে উদ্ধারকাজের জন্য।
- রাখতে হবে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা।
- সংশ্লিষ্ট নথি দপ্তরে জমা দিয়ে স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে অডিট করাতে হবে।
শর্ত মানলেই চলবে রেস্তরাঁ, নইলে সরাসরি বাতিল হবে লাইসেন্স এবং বন্ধ করে দেওয়া হবে রুফটপ।
মেছুয়া কাণ্ডের পরেই কঠোর প্রশাসন
বড়বাজারের মেছুয়ায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য। তখনই ঘোষণা করা হয়েছিল, বহুতলের ছাদ বিক্রি করা যাবে না এবং রুফটপ রেস্তরাঁ বন্ধ থাকবে। অগ্নিনির্বাপণ বিধি তৈরি করতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশে গঠিত হয় ‘ফায়ার সেফটি অ্যান্ড রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ কমিটি।
এই ১৫ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎ ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এবার সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রুফটপ রেস্তরাঁয় অগ্নি-নিরাপত্তার উপরেই সর্বাধিক জোর দিল রাজ্য।