সল্টলেকে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্কুল ছুটির পরে কেষ্টপুর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাদের মা। সেই সময় ২১৫এ নম্বর রুটের দু’টি বাস বেপরোয়া গতিতে রেষারেষি করতে করতে ধাক্কা মারে ওই স্কুটিতে। এই আঘাতে ছিটকে পড়ে যান মা ও দুই সন্তান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট ছেলের, সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর মা ও ভাই।
দুর্ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সল্টলেক এলাকায়। বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করেন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে নজরদারির গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, ওই এলাকার সিভিক ভলান্টিয়াররা গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা পালন করেন না।
অনেকেই অভিযোগ করেন যে, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও আহতদের দ্রুত উদ্ধার বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কোনও তৎপরতা ছিল না। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “বাসটি যখন স্কুটিকে ধাক্কা মারে, তখন পুলিশ আমাদের পাশে এসে সাহায্য না করে বাসের পিছনে ছুটতে থাকে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম আয়ুস পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ত। বাড়ি মানিকতলায়, সল্টলেক ও সংলগ্ন এলাকা দিয়েই তাদের নিয়মিত যাতায়াত। এ দিন তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
এই দুর্ঘটনার ঘটনার পর ফের উঠে এসেছে শহরে পুলিশি নজরদারির গাফিলতির প্রশ্ন। কিছুদিন আগেই বেহালায় এক লরির চাপায় প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও বাঁশদ্রোণীতে নবম শ্রেণির ছাত্রের পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনার পরেও সল্টলেকে আবারো এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন যাওয়ার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা! মৃত ৩, আহত ২০