শিয়ালদহ মেট্রোর পূর্ণাঙ্গ রুট চালু হতে চলেছে। আর তার আগেই রেল এবং কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে রূপরেখা তৈরি করেছে যাতে শিয়ালদহ স্টেশনের আশপাশে, বিশেষত দক্ষিণ দিকের অংশে, পায়ে হাঁটা যাত্রী ও যানবাহনের চলাচলে কোনো সমস্যা না হয়।
রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বতন্ত্র গাড়ির ধরণ অনুযায়ী পৃথক পৃথক চলাচলের চ্যানেল তৈরি করা হবে— যেমন অটো, অ্যাপ ক্যাব ও ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য আলাদা রাস্তা। তবে ট্রাফিক পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাস্তা কেটে আলাদা লেন তৈরি করবে না, বরং শুধু নির্দিষ্ট চিহ্ন দিয়ে চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করবে।
এক ট্রাফিক কনস্টেবল জানিয়েছেন, “অটোগুলিকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ঢুকতে দেওয়ার নিয়ম আগেই ছিল, সেটাই বজায় থাকবে। তবে যদি কোনও অ্যাপ ক্যাব অটোদের লেনে ঢুকে পড়ে, তবে তার বিরুদ্ধে জরিমানা করা হবে।”
দক্ষিণ অংশের দিকে অ্যাপ-ক্যাব স্ট্যান্ডটিকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান এক আধিকারিক। তিনি আরও বলেন, “ভিআইপি পার্কিং-এর জায়গাটি শেড দিয়ে ঘেরা হবে এবং তা সাধারণ গণপরিবহণ ব্যবস্থার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা থাকবে। প্রয়োজনে মেট্রো যাত্রীরাও এখানে গাড়ি পার্ক করতে পারবেন।”
ট্রাফিক পুলিশের তরফে শিয়ালদহ স্টেশনে বর্তমানে চালু থাকা প্রি-পেইড ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পরিধি বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। আরও একটি কাউন্টার যুক্ত করে বুথের কাজ দ্রুত করা হবে।
পথচারীদের চলাচল নিয়েও পুলিশ আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এক আধিকারিক বলেন, “মূল স্টেশনের যাত্রীরা যেন বেশি করে বৈঠকখানা বাজারের রাস্তাটি ব্যবহার করেন, আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই। আর দক্ষিণ দিকের যাত্রীরা যাতে বি আর সিং হাসপাতালের দিক দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও থাকছে।”
এছাড়াও পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা মসৃণ করতে পুলিশের তরফ থেকে রেলকে পাঁচ দফা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে—
- ক্যানাল ওয়েস্ট রোড থেকে পার্সেল গেট পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করা,
- পণ্য ওঠানো-নামানোর পদ্ধতির পুনর্বিন্যাস করে গাড়ির চলাচল নিশ্চিত করা,
- গাড়ি থেকে যাত্রী নামানোর জায়গা তৈরি করা,
- পণ্যবাহী গাড়িগুলির সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা,
- ক্যানাল ওয়েস্ট রোড থেকে পার্সেল গেট পর্যন্ত উপযুক্ত আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে পার্সেল গেট সংলগ্ন গুদামের একাংশ স্থানান্তর বা ভেঙে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, যাতে যাত্রী নামা, পার্কিং ও গাড়ি ঘোরানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নাম বদল মেট্রোরেলের অ্যাপে, ‘মেট্রো রাইড কলকাতা’ থেকে এখন ‘আমার কলকাতা মেট্রো’, বিভ্রান্ত যাত্রীরা
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us