গত মাসে দক্ষিণ কলকাতা ল’ কলেজের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর, এবার কলেজ চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে আর কোনও বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী (প্রাইভেট গার্ড) রাখা হবে না। পরিবর্তে, নিরাপত্তার দায়ভার তুলে দেওয়া হবে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের হাতে।
শনিবার কলেজের গর্ভনিং বডির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি যাতে কোনওভাবেই খামখেয়ালিপূর্ণ না হয়, তার জন্যই এমন কড়া পদক্ষেপ— দাবি কর্তৃপক্ষের।
এখানেই শেষ নয়, ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্তে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। আরও বেশি সংখ্যায় ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিকেও (Internal Complaints Committee) আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র, যিনি এক সময় কলেজেরই ছাত্র ছিলেন এবং বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কলেজের দুই বর্তমান ছাত্র এবং এক নিরাপত্তাকর্মীও।
এই ঘটনার পর সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। চাপের মুখে পড়ে অবশেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নিয়ে নতুন কৌশল নিতে বাধ্য হল বলে মনে করছেন শিক্ষামহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: এ বার বদলাতে চলেছে রাজ্যের সিইও-র ঠিকানাও! মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন