Home খবর কলকাতা তপসিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল শতাধিক ঝুপড়ি, দেরিতে দমকল পৌঁছানোর অভিযোগ

তপসিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল শতাধিক ঝুপড়ি, দেরিতে দমকল পৌঁছানোর অভিযোগ

শুক্রবার দুপুরে কলকাতার তপসিয়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তপসিয়ার বস্তিতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে দমকলের আটটি ইঞ্জিন ও প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ পৌঁছেছে। তবে দমকলের দেরিতে আসার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রাথমিক অনুমান, বস্তিতে থাকা দাহ্য পদার্থের কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু ঝুপড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এটি গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার কারণে হতে পারে। আজিজুল হক নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আগুন দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। প্রচণ্ড শব্দে চারপাশ কেঁপে ওঠে।’’

নাজিয়া বেগম নামে এক বাসিন্দা জানান, ‘‘আমার ছেলেকে নিয়ে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাইরে চিৎকার শুনে দেখি, আমাদের ছাদ জ্বলছে। কোনও মতে বেরিয়ে এসেছি, কিন্তু কিছুই সঙ্গে নিতে পারিনি।’’ আরও এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘শরীরের জামাটা ছাড়া আর কিছুই বাঁচাতে পারিনি। সব কিছু পুড়ে গিয়েছে।’’

দমকল আসার আগে স্থানীয় বাসিন্দারা কাছের খাল থেকে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে আগুন এতটাই বড় আকার ধারণ করেছিল যে, তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। দমকল আসতে দেরি হওয়ায় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষুব্ধদের শান্ত করতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এক পর্যায়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায়।

শেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, আগুনে ১০০টিরও বেশি ঝুপড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। বস্তি এলাকার অসংখ্য পরিবার এখন গৃহহীন।

আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘আগুন নেভানোর কাজ চলছে। বস্তি এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।’’

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version