Home খবর দেশ সময়ের আগেই বিপুল অঙ্কের ঋণ মেটাল আদানি গোষ্ঠী

সময়ের আগেই বিপুল অঙ্কের ঋণ মেটাল আদানি গোষ্ঠী

0

সময়ের আগেই ২৬৫ কোটি ডলারের ঋণ মিটিয়ে দিল আদানি গোষ্ঠী। রবিবার গোষ্ঠীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শেয়ার বন্ধক রেখে নেওয়া এই বিপুল অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। এই ঋণ মেটানোর জন্য ৩১ মার্চের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

মার্কিন আর্থিক গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে আদানি গোষ্ঠী। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। তার পরে আদানি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির বাজার মূলধনে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বন্ড। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ছয় সদস্যদের কমিটি গঠন করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

ও দিকে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য মোট ঋণ কমাতে উদ্যোগী আদানি গোষ্ঠী। আদানি জানিয়েছে, শেয়ারের বিপরীতে নেওয়া ২১০ কো‌টি ডলার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। এর সঙ্গে অম্বুজা সিমেন্ট অধিগ্রহণের জন্য ৫০ কোটি ডলারের ঋণও পরিশোধ করা হয়েছে। এর আগে, চারটি গ্রুপ কোম্পানির শেয়ারের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ৭,৩৭৪ কোটি টাকার পরিশোধ করা হয়েছিল। আদানি গ্রুপ সম্প্রতি নিজের তালিকাভুক্ত কোম্পানির কিছু অংশীদারিত্ব মার্কিন-ভিত্তিক জিকিউজি অংশীদারদের কাছে ১৫,৪৪৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে।

সাম্প্রতিক অতীতে, আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলির আরও বেশি শেয়ার কোম্পানির প্রধান সংস্থার নেওয়া ঋণের জন্য সুরক্ষা হিসাবে বন্ধক রাখা হয়েছিল। এসবিআই ক্যাপ ট্রাস্টি শেয়ার বাজারকে জানিয়েছিল যে আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের ০.৯৯ শতাংশ শেয়ার আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ঋণদাতাদের সুবিধার জন্য বন্ধক রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত রিপোর্টে আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার ‘স্টক ম্যানিপুলেশন’ এবং ‘অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির’ অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তারা জানিয়েছিল, বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে। তাছাড়া তাদের শেয়ারের ভ্যালুয়েশনও মাত্রাতিরিক্ত। ফলে যে কোনো সময়ে ভেঙে পড়তে পারে তাসের ঘর। মার্কিন সংস্থার ভয়ানক রিপোর্টের পরেই টলে গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version