অহমেদাবাদ থেকে উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171 ফ্লাইট। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬০ জনের। শনিবার বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট ঘিরেই ফের চাঞ্চল্য— কারণ অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনার মুহূর্তে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ধরা পড়ে দুই পাইলটের মধ্যে জ্বালানি নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর আলোচনা। পাইলটদের একজন বলেন, “কেন তুমি বন্ধ (জ্বালানি) করে দিলে?” জবাবে অপর পাইলট জানান, “আমি কিছু বন্ধ করিনি।”
তদন্তে উঠে এসেছে আরও ভয়ানক তথ্য— রানওয়ে ছাড়ার পরই Boeing 787-8 Dreamliner-এর দু’টি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালানির সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে আচমকা চলে গিয়েছিল ‘কাটঅফ’ (বন্ধ)-এ। ফলে ইঞ্জিনে জ্বালানি পৌঁছোয়নি, গতি ও উচ্চতা হারিয়ে মাটিতে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিন ফের চালু করার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন পাইলটেরা। ‘কাটঅফ’ থেকে ‘রান’-এ ফিরিয়ে আনা হয় সুইচ, সাময়িকভাবে ইঞ্জিন-২ কিছুটা স্থিতিশীল হয়ও। কিন্তু ইঞ্জিন-১ আর চালু করা যায়নি, না পাওয়া যায় ‘থ্রাস্ট’।
AAIB-র ১৫ পাতার রিপোর্টে পাখির ধাক্কার কোনও প্রমাণ নেই। বিমানের সামনের দিকের ‘এক্সটেন্ডেড এয়ারফ্রেম ফ্লাইট রেকর্ডার’ সফলভাবে উদ্ধার করে ডেটা ডাউনলোড করা সম্ভব হয়েছে। তবে পেছনের রেকর্ডার এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে তা থেকে তথ্য পাওয়া যায়নি।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা তদন্তকারী সংস্থা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে বিবৃতি, “আমরা তদন্তে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করছি এবং রিপোর্টে উঠে আসা বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।”
Air India stands in solidarity with the families and those affected by the AI171 accident. We continue to mourn the loss and are fully committed to providing support during this difficult time.
— Air India (@airindia) July 11, 2025
We acknowledge receipt of the preliminary report released by the Aircraft Accident…
এখন প্রশ্ন— উড়ানের ঠিক মুহূর্তে কীভাবে দুই ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে গেল? তা কি প্রযুক্তিগত ত্রুটি, না কি মানবিক ভুল? চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্টেই মিলবে তার উত্তর।