ত্রিপুরা : দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরায় রাজত্ব চালিয়েছে বাম শিবির। তবে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বাম শিবিরকে পরাজয় করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। আবারও বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। চলতি মাসের ১৬ তারিখ সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তবে এখন কেবল বাম-বিজেপি নয়। লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ, শুক্রবার বাম শিবিরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হল ইস্তেহার। ভোটে জয়লাভ করলে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস বাম শিবিরের। ১০,৩২৩ জন বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চাকরিতে পুনর্বহালের প্রতিশ্রুতি দিল বামফ্রন্ট। এমনকি বেকারদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেওয়া হয় বামফ্রন্টের ইস্তেহারে।
আগরতলা সিপিএমের রাজ্য দফতরে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ণ কর নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর দাবি,’কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করছি’।
জানা যাচ্ছে, বামফ্রন্টের ইস্তেহারে তুলে ধরা হয়েছে ৮১ দফা বক্তব্য। মূলত নতুন এবং যুব অংশের ভোটারদের মন পেতে নজর দিয়েছে বামফ্রন্ট। ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপি সরকারের আমলে পুলিশের পদোন্নতি সহ নানান সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে বিরাট অংশের পুলিশের মনে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে ভিন রাজ্যে কর্মরত ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানদের। ভোটে জিতলে এই সমস্ত সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেয় বামফ্রন্ট।
চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াই করবে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই প্রচারের সমস্ত কৌশল ঠিক করতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিদ্যুৎ সিংহের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক সেরেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,’জনগণকে বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবারের ভোটেই বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে সাধারণ মানুষ’।