রাজস্থানের কোটওয়ালে ৭০০ ফুট গভীর খোলা মুখ কুয়োয় পড়ে আটকে আছে মাত্র তিন বছরের শিশু চেতনা। ৬৫ ঘণ্টা পার হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও এ পর্যন্ত সফল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন এবার দক্ষ খনি-শ্রমিকদের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা নিষিদ্ধ ‘র্যাট-হোল মাইনিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করবেন। এই পদ্ধতিতে খুব ছোট গর্ত খনন করে গভীর জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব।
তবে ভারতে এই ধরনের দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছে। খোলা মুখ কুয়োয় পড়ে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য ঘটনা এক নজরে:
২০০৬: প্রিন্সের বিস্ময়কর উদ্ধার (কুরুশেত্র, হরিয়ানা)
বয়স: ৫ বছর
অবস্থা: ৬০ ফুট গভীর বোরওয়েলে আটকা।
উদ্ধার সময়: ৫০ ঘণ্টা।
বিশেষত্ব: প্রথমবারের মতো বোরওয়েল দুর্ঘটনার জাতীয় প্রচার পায়। সেনাবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় প্রিন্সকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
২০০৯: সোনু কুমার (আগ্রা, উত্তরপ্রদেশ)
বয়স: ৪ বছর
অবস্থা: ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় আটকা।
উদ্ধার সময়: ২০ ঘণ্টা।
বিশেষত্ব: এই ঘটনায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে সফল হয়েছিল।
২০১১: মাকসুদ (মালেগাঁও, মহারাষ্ট্র)
বয়স: ২ বছর
অবস্থা: ২০০ ফুট গভীর বোরওয়েলে আটকা।
উদ্ধার সময়: ৫৫ ঘণ্টা।
ফলাফল: শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
২০১۹: সুভাষ (তামিলনাড়ু)
বয়স: ২ বছর
অবস্থা: ২৫ ফুট গভীর বোরওয়েলে আটকা।
উদ্ধার সময়: ৮০ ঘণ্টা।
ফলাফল: অত্যন্ত সংকীর্ণ জায়গার কারণে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
২০২৩: হর্ষ (মধ্যপ্রদেশ)
বয়স: ৬ বছর
অবস্থা: ৪০ ফুট গভীর কুয়োয় আটকা।
উদ্ধার সময়: ২৪ ঘণ্টা।
ফলাফল: শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
২০২৪: চেতনা (কোটওয়াল, রাজস্থান)
বয়স: ৩ বছর
অবস্থা: ৭০০ ফুট গভীর কুয়োয় আটকা।
বর্তমান পরিস্থিতি: উদ্ধারে চলছে খনি-শ্রমিকদের চেষ্টা।
প্রিন্সের ঘটনা এই খোলা মুখ কুয়ো দুর্ঘটনা নিয়ে আলোড়ন ফেলেছিল। তারপরও খোলা মুখ কুয়ো বন্ধের দিকে সে ভাবে জোর দেওয়া হয়নি, চেতনার ঘটনা তাই আবার মনে করিয়ে দিল।