Home খবর দেশ গৌতম আদানি বনাম মুকেশ অম্বানি! এই সংস্থা কিনতে বাজি ধরলেন দুই ধনকুবের

গৌতম আদানি বনাম মুকেশ অম্বানি! এই সংস্থা কিনতে বাজি ধরলেন দুই ধনকুবের

0

এ বার মুখোমুখি আদানি বনাম অম্বানি! সূত্রের খবর, এক বড়ো সংস্থার মালিকানা পেতে বাজি ধরতে পারেন ভারতের এই দুই ধনকুবের।

মুখোমুখি আদানি-অম্বানি

মুকেশ অম্বানির (Mukesh Ambani) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Industries) এবং গৌতম আদানির (Gautam Adani) আদানি গ্রুপ (Adani Group) এখন আরেকটি সংস্থার জন্য মুখোমুখি হতে চলেছে। এই বড়ো সংস্থার পাশাপাশি আরও ৫টি সংস্থা রয়েছে, যার মধ্যে একটি সরকারি সংস্থা নিয়েও কথাবার্তা চলছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আদানি গোষ্ঠী এই সংস্থাটিকে কিনতে বড়ো বাজি ধরতে পারে।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ় ভিত্তিক এই বিদ্যুৎ সংস্থার নাম এসকেএস পাওয়ার। দু’টি ব্য়াঙ্কে বিপুল ঋণ রয়েছে এই সংস্থার। এসকেএস পাওয়ার (SKS Power) কোম্পানি কেনার জন্য সাতটি দরপত্র গৃহীত হয়েছে। এই কারণে, আদানি গ্রুপ এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এর আগে ল্যাঙ্কো অমরকন্টক পাওয়ারের (Lanco Amarkantak Power) জন্য বিড করেছিল আদানি ও অম্বানি।

কেন বিক্রি হচ্ছে বিদ্য়ুৎ কেন্দ্র

এই সংস্থার কাছে ব্যাঙ্ক অব বরোদা এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পাওনা রয়েছে ১,৮৯০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত একজন ব্যক্তি বলেছেন যে কোম্পানি দর মূল্যায়ন করবে। এই চুক্তি নিয়ে আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। যে কোনো একটি দরদাতা নির্বাচন করার আগে সম্পূর্ণ তথ্য নিতে পারেন ঋণদাতারা।

জানা গিয়েছে, সংস্থাটির জন্য চুড়ান্ত দরপত্র জমা দিয়েছে সাতটি সংস্থা। ওই সাতটি সংস্থা হল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আদানি গ্রুপ, রাষ্ট্রায়ত্ত এনটিপিসি, টরেন্ট পাওয়ার, জিন্দল পাওয়ার, সারদা এনার্জি অ্যান্ড মিনারেলস এবং সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ভ্যানটেজ পয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। এই দরপত্রগুলির আর্থিক পরামিতিগুলি নিয়ে আরও আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে দরদাতাদের কাছ থেকে আরও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হতে পারে। তার পরই দরপত্রে বিজয়ী সংস্থাকে নির্বাচন করা হবে।

৬০০ মেগাওয়াট কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কার্যরত অবস্থায় রয়েছে। মোট ২৩টি কোম্পানি এতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। ব্যাঙ্কগুলো চূড়ান্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা চারবার বাড়িয়েছিল। এর কারণ ছিল কিছু দরদাতা সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। এনটিপিসি বলেছে, তার নিজস্ব বোর্ড এবং সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেতে আরও সময়ের প্রয়োজন ছিল। এসকেএস-এর কর্পোরেট ইনসভেন্সি এবং রেজোলিউশন প্রক্রিয়া গত এপ্রিল মাসে শুরু হয়েছিল।

আরও পড়ুন: নোটবন্দিতে কাজের কাজ কিছু হয়েছে কি? চাঞ্চল্যকর দাবি প্রাক্তন সরকারি আমলার

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version