মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি হল ‘ভারত ডাল’ ব্র্যান্ড নামে ছোলার ডাল বিক্রি।
মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে এই ডাল বিক্রি শুরু করে। যা ‘ভারত ডাল’ নামে বিক্রি হচ্ছে। এই ডাল ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (NAFED), ন্যাশনাল কনজিউমারস কো-অপারেটিভ ফেডারেশন (NCCF), কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার এবং সফল (Safal)-এর মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশে ডালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার ছোলার ডাল, মটর ডাল, মুগ ডাল, অড়হর ডাল এবং মসুর ডালের মজুত রাখে। বাজারে ডালের দাম বাড়লে সরকার এই মজুদ ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি, দেশীয় বাজারে ডালের চাহিদা পূরণে অনেক সময় আমদানিতেও শুল্ক মকুব করা হয়। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত মসুর ডালের আমদানি শুল্কও কমানো হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এর আগে, ময়দার দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে মোদী সরকার কম দামে আটা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই আটা ভারত ব্র্যান্ডের নামেও বিক্রি করা হবে এবং এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত আটা’।
কেন্দ্রীয় সরকার ‘ভারত আটা’ বিক্রি করছে প্রতি কেজি ২৭.৫০ টাকা দরে। ইকোনমিক টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাফেড, এনসিসিএফ এবং কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারের দুই হাজারেরও বেশি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই আটা বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে ৮০০ মোবাইল ফোনে অর্ডার নেওয়ার মাধ্যমেও এই আটা বিক্রি করা হবে।
গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতিতে সমস্যায় পড়লেও অক্টোবরের মূল্যস্ফীতির তথ্য কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। জুলাই থেকে টানা তৃতীয় মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি কমছে। ভোক্তা মূল্য সূচক ৪.৮৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে তা ছিল ৫.০২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর টানেলে এখনও আটকে ৪০ শ্রমিক, উদ্ধার করতে ৩ ফুট ব্যাসের পাইপ এসে পৌঁছোল