ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের হাতে গোনা ক’দিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বাড়িসহ মোট নয়টি জায়গায় আয়কর দফতরের তল্লাশি চালানো হয়েছে। শনিবার সকালে এই অভিযান শুরু হয়। জানা গেছে, রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে সোরেনের ব্যক্তিগত সচিব সুনীল শ্রীবাস্তবের বাড়িতে সকাল ৭টা থেকে এই তল্লাশি চলছে।
এ দিনের তল্লাশি অভিযানটি ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষত রাঁচি ও জামশেদপুরে চলছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গেছে যে, আয়কর বিভাগের দল মোট নয়টি জায়গায় এই অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জানুয়ারিতে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে হেমন্ত সোরেনকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরবর্তীতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। অভিযোগ ছিল যে, তিনি রাঁচির বাদগাই এলাকার ৮.৮৬ একর জমির জাল দলিল তৈরি করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে, আগামী ১৩ ও ২০ নভেম্বর দুই দফায় ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৩ নভেম্বর ভোট গণনা করা হবে। মোট ২.৬ কোটি ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এঁদের মধ্যে ১.৩১ কোটি পুরুষ ও ১.২৯ কোটি মহিলা ভোটার রয়েছেন। ১১.৮৪ লক্ষ প্রথমবারের ভোটার ও ৬৬.৮৪ লক্ষ তরুণ ভোটার রয়েছেন।
২০১৪ ও ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গিয়েছিল। ২০২০ সালের নির্বাচনে জেএমএম ৩০টি আসন জয়লাভ করে, যেখানে বিজেপি ২৫টি এবং কংগ্রেস ১৬টি আসন পেয়েছিল।
একদিকে, নির্বাচনী প্রচারে শুক্রবার হেমন্ত সোরেন বিজেপির “রোটি, বেটি এবং মাটি” নীতিকে ভাঁওতাবাজি হিসেবে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন যে, তাঁর সরকার ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের বিশেষ করে কন্যাদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে। ঘাটশিলায় এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তিনি “সাবিত্রীবাই ফুলে ঝানো যোজনা”র কথা তুলে ধরেন, যার মাধ্যমে ১২ লক্ষ ছাত্রীর সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী।