বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন জিততে পারেনি প্রশান্ত কিশোরের জনসুরাজ পার্টি। শনিবার দলটি নিজেদের ফলাফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেও একই সঙ্গে দাবি করেছে যে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে নগদ হস্তান্তরই এনডিএ-র বিশাল জয়ের অন্যতম প্রধান কারণ।
জনসুরাজ পার্টির জাতীয় সভাপতি উদয় সিং শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ফলাফলে আমরা হতাশ, কিন্তু নিরাশ নই। একটিও আসন না জিতলেও আমরা এনডিএ-র বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।” তাঁর দাবি, বেকারত্ব, পরিযায়ী, শিল্পহীনতা— এমন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে তীব্র প্রচার চালিয়েও তা ভোটে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছে দল।
মুসলিম ভোটারদের মন জয় করতে ব্যর্থ
এক সাংবাদিক বৈঠকে উদয় সিং স্বীকার করেন, দলটি মুসলিম ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাঁর কথায়, “মানুষ আরজেডি-কে ফের চাইছে না, ফলাফল তা স্পষ্ট করেছে।” তিনি আরও দাবি করেন, এনডিএ মোট ভোটের ৫০ শতাংশও পায়নি।
নগদ হস্তান্তরই এনডিএ-র জয়ের বড় ফ্যাক্টর
উদয় সিংয়ের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা-র আওতায় মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ট্রান্সফারই নির্বাচনের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিয়েছে। মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, “এই নগদ সুবিধা আসলে ভোট কেনার চেষ্টা। আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার পরেও টাকা ট্রান্সফার হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা অপেক্ষা করছি সরকার কবে মহিলাদের বাকি ২ লাখ টাকা দেবে!”
পিকে কি ছাড়বেন রাজনীতি?
প্রশান্ত কিশোর আগেই বলেছিলেন, জেডিইউ ২৫-এর বেশি আসন পেলে তিনি রাজনীতি ছাড়বেন। এ নির্বাচনে জেডিইউ পেয়েছে ৮৫টি আসন। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে উদয় সিং বলেন, “এ প্রশ্ন কেবল কিশোরকেই করা উচিত।”
এক টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পিকে জানিয়েছেন, এই ফলাফলে তিনি মোটেই হতাশ নন। তাঁর রাজনৈতিক দল তুলে দেওয়ারও কথা তিনি ভাবছেন না। তাঁর কথায়, ‘কারও হেরে যাওয়া মানে তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র লিখতে বসা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: বিহার নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটশেয়ার পেয়েও বড় হার আরজেডি-র! মাত্র ২৫ আসন— কেন হল এমন?
