Home খবর দেশ প্রেমের বিয়েতেই বেশি বিচ্ছেদ, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

প্রেমের বিয়েতেই বেশি বিচ্ছেদ, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: বেশির ভাগ বিবাহবিচ্ছেদ শুধুমাত্র প্রেম করে বিয়ের ক্ষেত্রেই ঘটে! বুধবার বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চে একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানানো হয়।

এ দিন একটি বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি করছিল বেঞ্চ। এই মামলায় মামলায় মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয় আদালত। যদিও মামলার অন্যতম পক্ষ এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এর পরই, গত ১ মে-র একটি রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত। যে রায়ে বলা হয়েছে, যদি কোনো বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পথে থাকে, তা হলে নিজের পক্ষ থেকে দ্রুত বিবাহবিচ্ছেদের সায় দিতে পারে আদালত। ১ মে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছিল, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে দেওয়া বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে আদালত এই নির্দেশ দিতে পারে।

এ দিনের মামলার শুনানিতে বেঞ্চ জানতে চায়, মামলাকারী দম্পতির প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল কি না। উত্তরে সম্মতিসূচক জবাব দেন আইনজীবীরা। এর পরই প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য শোনা গেল বিচারপতির মুখে। তখন বিচারপতি গাভাই বলেন, “বেশির ভাগ বিবাহবিচ্ছেদ শুধুমাত্র প্রেম করে বিয়ের ক্ষেত্রেই ঘটে”।

বলে রাখা ভালো, এত কাল অবধি হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারা অনুসারে কোনও ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে তা মঞ্জুর হতে ৬ মাস সময় লাগত। পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য বাধ্যতামূলক অপেক্ষার সময়টি দূর করা যেতে পারে কিনা, সে বিষয়েই আলোকপাত করেছে সর্বোচ্চ আদালত। গত ১ মে বেঞ্চ এই বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে দেওয়া যায় কিনা।

রায় ঘোষণা করার সময়, বেঞ্চ বলেছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২(১)-এর অধীনে সুপ্রিম কোর্টকে ‘সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার’ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে কখনও সন্দেহ বা বিতর্ক ছিল না। বেঞ্চের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি খান্না বলেন, “আমরা মনে করি যে এই আদালতের দু’টি রায়ে উল্লেখিত প্রয়োজনীয়তা ও শর্তাবলী সাপেক্ষে ৬ মাসের সময়সীমা বাতিল করা যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: আসছে ‘এল নিনো’, বর্ষার অশুভ ইঙ্গিত?

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version