Home খবর দেশ মহারাষ্ট্রে মহিলা চিকিৎসকের রহস্যময় মৃত্যুতে কী কী অভিযোগ উঠছে?

মহারাষ্ট্রে মহিলা চিকিৎসকের রহস্যময় মৃত্যুতে কী কী অভিযোগ উঠছে?

Maharashtra woman doctor dies by suicide; names two police officers for rape and harassment in note

খবর অনলাইন ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় সরকারি হাসপাতালের এক ২৮ বছর বয়সি মহিলা চিকিৎসকের রহস্যময় মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক হোটেল কক্ষে ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার আশঙ্কা করা হলেও, তাঁর হাতের তালুতে লেখা একটি নোট গোটা ঘটনায় নতুন মোড় এনেছে।

নোটে চিকিৎসক দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। মৃত চিকিৎসকের হাতের তালুতে লেখা ছিল— গত পাঁচ মাস ধরে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিপীড়ন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত দুই পুলিশ অফিসার সাসপেন্ড

চাঞ্চল্যকর অভিযোগের খবর জানাজানি হতেই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস সাতারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অভিযুক্ত দুই পুলিশ আধিকারিককে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন।

সাতারা জেলার পুলিশ সুপার তুষার দোশি বলেন, “আমরা একটি মামলা রুজু করেছি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার হাতে লেখা নোটের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

অভিযোগ: ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতন

নোটে চিকিৎসক দাবি করেছেন, সাব-ইনস্পেক্টর গোপাল বাদানে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। অন্য এক অফিসার প্রশান্ত ব্যাংকার মানসিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ।

মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রূপালি চক্রঙ্কর জানান, “আমরা ঘটনাটির বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে নজর দিয়েছি। সাতারা পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন: জুবিন গার্গের রহস্যময় মৃত্যুর তদন্তে বড় অগ্রগতি, সিঙ্গাপুর সফর শেষে গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে ফিরল অসম পুলিশের এসআইটি

পরিবারের বিস্ফোরক দাবি

চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তুলেছেন, তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট জাল করতে চাপের মুখে ছিলেন। মৃতার এক আত্মীয় বলেন, “পুলিশ ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা তাঁকে ভুল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে চাপ দিচ্ছিল। আমার বোন সেই অন্যায় মানতে পারেননি। তাঁর জন্য ন্যায় চাই।”

কর্মস্থলের চাপের কথাও জানিয়েছিলেন

চিকিৎসকের দুই ঠাকুমা জানান, তিনি তাঁদের কাছে কর্মস্থলের চাপ ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। এক ঠাকুমা বলেন, “ও খুব মেধাবী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিল। ছোটবেলা থেকে আমরা ওকে মানুষ করেছি। অফিসে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিল, তাই এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছে। অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়।”

আরও এক ঠাকুমা জানান, “মাত্র দু’দিন আগেই ও বলেছিল যে, সিনিয়রদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে।”

তদন্তে কঠোরতা আনল প্রশাসন

সাতারা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাব-ইনস্পেক্টর বাদানে-সহ উভয় অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।

পুলিশ সুপার দোশি বলেন, “আমরা সমস্ত প্রমাণ ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করছি। তদন্তে কোনো পক্ষপাত থাকবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version