Home খবর দেশ ‘সরকার গড়তে বহুমত, দেশ চালাতে সহমত’, অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই বার্তা...

‘সরকার গড়তে বহুমত, দেশ চালাতে সহমত’, অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই সরকার পরিচালনা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। জোট সঙ্গী নিয়েই সরকার গঠন করতে হয়েছে। তাই লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই তিনি জানিয়ে দিলেন সহমতের ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করবেন তিনি। তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

লোকসভায় সোমবার সাংসদ হিসাবে শপথগ্রহণ করেন মোদী। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও একে একে শপথ নেন। প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব শপথগ্রহণের তত্ত্বাবধান করেন। সাংসদদের শপথগ্রহণ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। ২ বা ৩ জুলাই লোকসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারেন মোদী।

বিরোধিতা উড়িয়ে প্রোটেম স্পিকার পদে শপথ নিলেন ভর্তৃহরি মহতাব

অধিবেশন শুরুর আগের ভাষণে ইন্দিরা গান্ধীর আমলের কংগ্রেস সরকারকেও আক্রমণ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘৫০ বছর আগে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, যা দেশের অন্ধকার অধ্যায় এবং গণতন্ত্রের উপর কালো দাগ ছিল। আর কখনও সেই আঁধার নেমে আসবে না এই দেশে।’’

বিরোধীদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা আমাকে হতাশ করেছে। তবে আশা করছি, সংসদে তারা সুষ্ঠু ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। মানুষ স্লোগান নয়, কাজ চায়।’’

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও তাদের নেতৃত্বাধীন জোট ২৯২টি আসন পেয়েছে। বিজেপি এককভাবে পেয়েছে মাত্র ২৪০টি আসন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বিজেপি শরিক দলগুলির সাহায্যে সরকার গড়েছে, এবং সেই নমনীয়তার প্রতিফলন দেখা গেল মোদীর ভাষণেও। তিনি বলেন, ‘আমরা মানি, সরকার গঠনের জন্য বহুমতের প্রয়োজন। আর একই ভাবে দেশ চালানোর জন্য সহমতের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সকলকে সঙ্গে নিয়ে মা ভারতীর সেবা করার চেষ্টা করব। ১৪০ কোটি দেশবাসীর আশা-আকাক্ষ্মা পূরণ করার চেষ্টা করব।’  

মোদীর ভাষণের পর জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। প্রোটেম স্পিকার মোদীকে লোকসভার নেতা ঘোষণা করেন এবং ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফাও গ্রহণ করেন তিনি।

এই অধিবেশন চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও বিল নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা ও সহযোগিতামূলক মনোভাব নতুন সরকারের কার্যক্রমে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটাই দেখার।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version