ভারতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় লিখল উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্য মিজোরাম। দেশের মধ্যে প্রথমবার ‘পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পেল এই রাজ্য। মঙ্গলবার মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভানলালথলানাও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনটি মিজোরামের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”
এই স্বীকৃতি মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং লাইফলং লার্নিং ফর অল ইন সোসাইটি’ (ULAS – উল্লাস) প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্প অনুসারে, কোনও রাজ্যের সাক্ষরতার হার যদি ৯৫ শতাংশ বা তার বেশি হয়, তবেই মিলবে ‘পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি। মিজোরামের সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৯৮.২ শতাংশ।
এর ফলে, ২০১১ সালের জনগণনায় সর্বোচ্চ সাক্ষরতার রেকর্ডধারী কেরলকে (৯৪ শতাংশ) পিছনে ফেলে মিজোরাম দেশের প্রথম পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে উঠে এল।
তবে এই আনন্দঘন মুহূর্তে কিছুটা বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কারণ, শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রশংসাপত্রমূলক পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘State of Bharat’— যা সাধারণত প্রচলিত নয়। সাধারণত এমন সরকারিভাবে তৈরি ইংরেজি নথিতে লেখা থাকে ‘State of India’। এই শব্দচয়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
তবে এই বিতর্কের মধ্যেও মিজোরামের শিক্ষা মডেলকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রান্তিকতা সত্ত্বেও কিভাবে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে এই রাজ্য, তা দেশের অন্য রাজ্যগুলির কাছেও এক অনুপ্রেরণা।