প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করার প্রবণতা। আন্তর্জাতিক ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধ করার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক বিষয়ের ওপরও সমান ভাবে জোর দিতে হবে। কারণ ভারতে এখনও আত্মহত্যাকে জটিল জনস্বাস্থ্যের বিষয় হিসাবে না দেখে স্থুলভাবে অপরাধ হিসাবে ধরা হয়।
গোটা বিশ্বে বছরে প্রায় ৭ লাখের বেশি মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেন। এর মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ভারতে। দারিদ্র্য, ঋণ, পারিবারিক অশান্তি, নেশা, চাকরি বা ব্যাবসার সমস্যা, প্রেমে বা বিয়ের ব্যর্থতা, নেশা, মানসিক অবসাদ, অসুস্থতা, সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে পড়া ইত্যাদি নানা কারণে মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণায়।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতে আত্মহত্যা করেছে ১.৭১ লাখ মানুষ। প্রতি লাখে আত্মহত্যার হার ১২.৪%। আত্মঘাতী ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০%-র বয়স ৩০ বছরের নীচে। প্রতি ৮ মিনিটে একজন কমবয়সি ভারতীয় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। কমবয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে বেকারত্ব আত্মহত্যা করার প্রধান কারণ। প্রতি ১ লাখ বেকার মহিলাদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার হার ৯৪.৮%।