পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে পাকিস্তান বৃহস্পতিবার একটি কড়া সিদ্ধান্ত নেয়—ভারতীয় বা ভারত-পরিচালিত সমস্ত বিমান সংস্থার জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ জানিয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতির কারণে উত্তর আমেরিকা, ইউকে, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যে আমাদের একাধিক ফ্লাইট বিকল্প ও দীর্ঘ পথ দিয়ে চালানো হবে। যাত্রীদের যথাযথ পরিকল্পনা ও ধৈর্যের অনুরোধ করা হচ্ছে।”
ইন্ডিগোও তাদের যাত্রীদের উদ্দেশে একটি ট্র্যাভেল অ্যাডভাইসরি জারি করে জানায়, “পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সময়সূচিতে প্রভাব পড়তে পারে। আমরা যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর চেষ্টা করছি।”
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে দিল্লি, লখনউ, আমৃতসর সহ উত্তর ভারতের একাধিক শহর থেকে বিদেশগামী বিমানের রুট দীর্ঘ হয়ে পড়বে। ফলে সময় বাড়বে ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত এবং টিকিটের দাম ৮–১২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে অনুমান করছে উড়ান সংস্থাগুলি।
পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়া:
২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওর কাছে বৈসারণ মে়ডোতে এক দল পর্যটকের ওপর অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এই ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারান, যাঁদের বেশিরভাগই পর্যটক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “এই বর্বরতার জবাব দেবে ভারত। যারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছেছে। ভারত একাধিক প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে—ইন্দাস জলের চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি সামরিক দূতাবাস কর্মীদের বহিষ্কার, ও অটারি সীমান্তের ট্রানজিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।