রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ভোট গণনার পরেও অব্যাহত রয়েছে। এই তিনটি রাজ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি, কিন্তু এখনও রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে অনেক নাম নিয়ে জল্পনা চলছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এখনও পৌঁছাতে পারেনি বিজেপি।
রবিবার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে রাজস্থান,মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গনা এবং ছত্তীসগঢ় বিধানসভা ভোটের। সোমবার জানা গিয়েছে মিজোরামের ভোট ফলাফল। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রথম শপথ গ্রহণ তেলঙ্গনায়। পর দিন মিজোরামে। কিন্তু রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ় নিয়ে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই তিন রাজ্যেই এ বার সরকার গড়ছে বিজেপি।
বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্থানে। এখানে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজের সমর্থকরা ক্রমাগত তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জোরালো করছেন। এর জন্য শক্তি প্রদর্শনও হয়েছে বহুবার। গত দুদিনে বহু বিধায়ক গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। বলা হচ্ছে, বসুন্ধরা রাজের সঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি বিধায়ক রয়েছেন। তবে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে বসুন্ধরা রাজে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি দলবিরোধী কিছু করবেন না। তাঁর কাছে দলই সর্বোচ্চ।
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন যাঁরা
বসুন্ধরা রাজে
রাজনৈতিক মহলের মতে, দল দূরত্ব বাড়ালেও বসুন্ধরা রাজে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। প্রায় ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন থাকায় তাঁর পাল্লা ভারী হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। এই বিধায়করা ক্রমাগত তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে দল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করলে এই বিধায়করা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।
দিয়া কুমারী
যদি বসুন্ধরা রাজেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে দিয়া কুমারীকে নির্বাচনের সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বসুন্ধরা রাজের মতো দিয়া কুমারীও রাজ পরিবার থেকে এসেছেন। দলীয় উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে।
বাবা বালকনাথ
তিজারা বিধানসভায় জয়ী হওয়ার আগে বাবা বালকনাথ আলওয়ারের সাংসদ ছিলেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তাঁর নামও এগিয়ে চলেছে। বাবা বালকনাথ ওবিসি এবং যাদব সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। যে কারণে দল তাঁকে সুযোগ দিলেও দিতে পারে।
গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত
গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের জলসম্পদ মন্ত্রী। একদিকে কেন্দ্র ও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে, অন্যদিকে তাঁকে বসুন্ধরা রাজের বিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে তাঁর নামও রয়েছে।
ওম বিড়লা
আচমকা রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ঢুকে পড়েছে ওম বিড়লার নামও। এখন তিনিও মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এতে উপরতলার হাত রয়েছে। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যখন বসুন্ধরা রাজে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন ওম বিড়লা সংসদীয় সচিব ছিলেন।
অর্জুন মেঘপাল
এ ছাড়াও, অর্জুন মেঘওয়ালও মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি প্রাক্তন আইএএস। কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতেও বাংলায় বৃষ্টি, বর্ষণ থামলেই দ্রুত নামবে পারদ