রাম সেতুর একটি ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)। এই সেতুটি আদম ব্রিজ নামেও পরিচিত। সংস্থার দাবি, কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-২ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ছবিটি তোলা হয়েছে।
এই সেতুটি ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে সংযুক্ত করে। যা ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল থেকে রামেশ্বরম দ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের মধ্যে ৪৮ কিমি জুড়ে বিস্তৃত।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি উল্লেখ করেছে যে রাম সেতুর কিছু বালির তির শুষ্ক, এবং এই এলাকার সমুদ্র খুব অগভীর, মাত্র ১ থেকে ১০ মিটার গভীর। যেটি জলের হালকা রং দ্বারা নির্দেশিত হয়।
প্রায় ২৩০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত মান্নার দ্বীপ। একটি সড়ক সেতু এবং একটি রেল সেতু উভয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত। দ্বীপ রাষ্ট্রের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত।
রাম সেতু বা আদম ব্রিজের ভারতীয় দিকে রয়েছে রামেশ্বরম দ্বীপ। যা পামবান দ্বীপ নামেও পরিচিত। ভারতীয় মূল ভূখণ্ড থেকে ২-কিমি লম্বা পামবান সেতুর মাধ্যমে ভারতের স্থলভাগে প্রবেশ করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি ছবি প্রকাশ করে। যাতে ভারতের ধনুষকোণ্ডি ও শ্রীলঙ্কার পামবানের মধ্যে সমুদ্রের কয়েক ফুট গভীরে ৪৮ কিলোমিটার চওড়া স্থলভাগ স্পষ্ট। অনেকের দাবি, এই স্থলভাগ আসলে রামসেতু।
রামায়ণের বর্ণনা অনুযায়ী, লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য সমুদ্র পেরনোর প্রয়োজন পড়ে রাম লক্ষ্মণ ও তাঁদের বানর বাহিনীর। নল ও নীল নামে দুই বানরের সাহায্যে সমুদ্রের উপর সেতু বন্ধন করেন রাম। বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে এই সেতু এমন পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, যা জলের উপর ভাসে।