সারা দেশে গাড়ির জন্য হলোগ্রাম-ভিত্তিক বিভিন্ন রঙের স্টিকার বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ সনদ’ (PUC) সম্পর্কিত নিয়ম কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে শীর্ষ আদালত। বুধবার বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ দিল্লির ক্রমবর্ধমান বায়ুমান সূচকের (AQI) মধ্যে কঠোর গ্র্যাডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP-4) বাস্তবায়নের বিষয়েও প্রশ্ন তোলে।
বেঞ্চ অ্যামিকাস কিউরিকে এ ব্যাপারে একটি নোট প্রস্তুত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার ভিত্তিতে কেন্দ্রকে মোটর ভেহিকেলস (উচ্চ নিরাপত্তা রেজিস্ট্রেশন প্লেট) অর্ডার, ২০১৮ সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হবে।
‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ সনদ’-এর নিয়ম না মানার বিষয়টি নিয়ে বেঞ্চ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বেঞ্চ বলেছে, “এই নিয়মগুলি মানা না হলে দূষণকারী যানবাহনে ভরে যাবে রাস্তা।”
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি আদালতকে জানান যে, একিউআই প্রায় ৪৮০-৪৯০-এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, GRAP-4 কড়াকড়ি কার্যকর করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিক্রিয়া দেবে।
বেঞ্চ জিজ্ঞাসা করে, ১ এপ্রিল, ২০১৯-এর আগে নিবন্ধিত যানবাহনগুলিতে এই হলোগ্রাম স্টিকার প্রয়োগের নির্দেশ কীভাবে কার্যকর হবে। অ্যামিকাস জানান যে, প্রক্রিয়াটি দিল্লি এনসিআর এলাকায়ও ধীরগতিতে চলছে।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট পেট্রল ও সিএনজি-চালিত গাড়ির জন্য হালকা নীল স্টিকার এবং ডিজেল-চালিত গাড়ির জন্য কমলা স্টিকার ব্যবহারের প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। পরে কেন্দ্রীয় সরকার এটি আইনত স্বীকৃতি দেয়।
শীর্ষ আদালত বলেছে, এনসিআর-এর বাইরে অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই নিয়ম প্রয়োগের জন্য সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা ব্যবহার করা হতে পারে।
সরকারি সংস্থা এবং পাবলিক সেক্টর সংস্থাগুলিকে যতটা সম্ভব বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার পরামর্শ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করে বেঞ্চ। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ জানুয়ারি হবে।
