সোমবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর)-এর সেই সুপারিশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। ওই বিতর্কিত সুপারিশের মাদ্রাসার তহবিল বন্ধের এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের সাধারণ স্কুলে স্থানান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এনসিপিসিআর-এর সুপারিশের ভিত্তিতে বলা হয়েছিল, মাদ্রাসাগুলিকে শিক্ষার অধিকার আইন (RTE) অনুসারে আনতে এবং সকল শিশুর জন্য সমান শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ-এর পক্ষে একটি আবেদনে এই স্থগিতাদেশ দেয়। জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ উত্তরপ্রদেশ এবং ত্রিপুরা সরকারের অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছিল।
এনসিপিসিআর এর আগে রাজ্য সরকারগুলিকে মাদ্রাসা বোর্ডগুলির তহবিল বন্ধ করতে, মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে ছাত্রদের সাধারণ স্কুলে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিল। তবে, জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ আদালতের কাছে দাবি জানায় যে এই সুপারিশগুলি সংখ্যালঘুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকারের পরিপন্থী এবং কোনও আইনগত ভিত্তি ছাড়াই কার্যকর করা হচ্ছিল।
আদালত এখন নির্দেশ দিয়েছে যে, এনসিপিসিআর-এর ৭ জুন এবং ২৫ জুনের যে কোনও চিঠি বা নির্দেশিকা কার্যকর হবে না যতক্ষণ না পরবর্তী আদেশ জারি হয়।
এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুঙ্গো বলেন, “আমরা কখনোই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করার পক্ষে ছিলাম না।” তিনি আরও বলেন, “অনেক দরিদ্র মুসলিম শিশুকে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় যেতে বাধ্য করা হয়, যার ফলে তারা সাধারণ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের পক্ষে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং দাবি করেন যে, এনসিপিসিআর-এর এই নির্দেশ সংবিধানবিরোধী এবং কোনও বৈধ ভিত্তি নেই। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এখনই এনসিপিসিআর-এর সুপারিশগুলি কার্যকর করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার আহ্বান জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের, কী এমন ঘটল
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us