Home খবর দেশ বিতর্কে জড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী, ১০০ কোটি টাকার অনুদান ফেরাল তেলঙ্গনা সরকার

বিতর্কে জড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী, ১০০ কোটি টাকার অনুদান ফেরাল তেলঙ্গনা সরকার

0

আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে প্রস্তাবিত ১০০ কোটি টাকার অনুদান গ্রহণ করতে অস্বীকার করল তেলঙ্গনা সরকার। এই অর্থ ইয়াং ইন্ডিয়া স্কিলস ইউনিভার্সিটির জন্য দেওয়া হয়েছিল। তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির নির্দেশে রাজ্যের বিশেষ প্রধান সচিব জয়েশ রঞ্জন আদানি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন প্রীতি আদানিকে একটি চিঠি লিখে জানান, সাম্প্রতিক বিতর্কের প্রেক্ষিতে এই অর্থ গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “১০ অক্টোবর তারিখে লেখা চিঠির মাধ্যমে আপনারা ইয়াং ইন্ডিয়া স্কিলস ইউনিভার্সিটির জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তবে আইটি আইনের ৮০জি ধারার অধীনে ইউনিভার্সিটির কর ছাড়ের অনুমতি না মেলার কারণে আমরা এখনও কোনও দাতার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করিনি। যদিও সম্প্রতি এই অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে, আমি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আপনাদের জানাচ্ছি যে বর্তমান পরিস্থিতি এবং উদ্ভূত বিতর্কের কারণে আমরা এই অর্থের স্থানান্তর চাইছি না।”

মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এক বিবৃতিতে বলেন, “ইয়াং ইন্ডিয়া স্কিলস ইউনিভার্সিটির জন্য অনেক সংস্থা অনুদান দিয়েছে। একই ভাবে আদানি গোষ্ঠীও ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল। তবে রাজ্য সরকার এই অনুদান গ্রহণ করবে না বলে গতকাল একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমি সেই সিদ্ধান্তের কথাই আরেক বার জানালাম।”

সাম্প্রতিক অভিযোগ এবং বিতর্ক

গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে। তারা জানিয়েছে, সৌর শক্তি প্রকল্পে চুক্তি পাওয়ার জন্য আদানি গোষ্ঠী ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিল এবং পরে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে ভুল তথ্য দিয়েছিল। গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) অভিযোগ করেছে, সৌর শক্তি প্রকল্পে চুক্তি পেতে ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে গৌতম এবং সাগর আদানি সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

আদানি গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া

এই অভিযোগ অস্বীকার করে আদানি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং আমরা তা অস্বীকার করছি। বিচার বিভাগের কথামতো, অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ বলে বিবেচিত হবে। আমরা সব ধরনের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version