ত্রিপুরা : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে প্রকাশিত হল বিজেপির ইস্তেহার। ইস্তেহার বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তহার প্রকাশ করলেন তিনি। রয়েছে একাধিক চমক। রাজ্যের ‘মা ক্যান্টিনের’ আদলে ‘অনুকূলচন্দ্র ক্যান্টিন’ তৈরির আশ্বাস বিজেপির। আগরতলা রবীন্দ্র ভবনে প্রাক্তন প্রকাশিত হলো নির্বাচনী ইস্তেহার।
১)মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা: এই প্রকল্পের মেধাবী কলেজ ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটি প্রদান করা হবে।২) বালিকা সমৃদ্ধি স্কিম: কন্যা সন্তানের জন্য আর্থিক ভাবে দূর্বল শ্রেণির প্রতিটি পরিবারকে ৫০,০০০টাকা একটি বন্ড প্রদান।৩) সকল যোগ্য ভূমিহীন নাগরিকদের পাট্টা বিতরণ।৪) প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সমস্ত সূবিধা ভোগীদের বিনামূল্যের ২ টি এলপিজি সিলিন্ডার।৫) অনুকূলচন্দ্র ক্যান্টিন, যেখানে ৫ টাকা প্রতি প্লেট দরে দিনে তিনবার রান্না করা খাবার মিলবে।৬) পিডিএস উপভোক্তাদের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে চাল ও গম এবং বছরে চারবার ভর্তুকি দরে ভোজ্য তেল।
৭) ত্রিপুরা জনজাতি বিকাশ যোজনায় তফসিলি উপজাতি পরিবারকে ৫,০০০ টাকা করে বার্ষিক আর্থিক সহায়তা প্রদান।৮) উপজাতীয় সংস্কৃতি অধ্যায়ন, গবেষণা, প্রচার ও সংরক্ষণের জন্য গন্ডাছড়ায় মহারাজা বীর বিক্রম মাণিক্য উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।৯) প্রধান সমাজপতিদের প্রতি মাসে সম্মানী ভাতা ২,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫,০০০ টাকা করা।১০) প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮,০০০ করার প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া ভূমিহীন কিষাণ বিকাশ যোজনায়, সমস্ত ভূমিহীন কৃষকদের প্রতি বছর ৩,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা। মৎস্য সহায়ক যোজনায় সমস্ত জেলেকে ৬,০০০ টাকা বার্ষিক আর্থিক সহায়তা।১১) আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে প্রতি-পরিবারের বার্ষিক ক্যাপ ৫ লক্ষ টাকা থেকে দ্বিগুন করে ১০ লক্ষ টাকা।১২) মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগযোগ যোজনার অধীনে প্রায় ৫০,০০০ মেধাবী কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্টফোন প্রদান।
১৩) আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের উদ্দেশে ১,০০০ কোটির বিনিয়োগ।১৪) প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তীর্থ যোজনা চালু করার প্রতিশ্রুতি। এছাডা় এবং অযোধ্যা, বারাণসী, উজ্জয়ন ইত্যাদিতে ভর্তুকিযুক্ত ট্রেনের ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা এবং ভাতা প্রদান।১৫) ১০০ শতাংশ ক্রেডিট গ্যারান্টি-সহ ক্ষুদ্র ও ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পর্যন্ত জামানত-মুক্ত ঋণ।