কিন্তু আমার তার মধ্যে ভাল লেগেছে সেখানকার পিঠে। কত ধরনের পিঠে। যেমন, দুধপুলি, পাটিসাপটা, গোকুলপিঠে, ভেটকি পিঠে, গাজরের পিঠে, ভাপা পিঠে, আরও কত কী। কিন্তু আমি প্রথমবার ভেটকি পিঠে খেয়েছিলাম। আমার দারুণ লাগল। কী সুন্দর স্বাদ! মেন হয় বারবার খাই। এমন সুন্দর খাবার আমি জীবনেও খাইনি। শীতকালে আমার সব থেকে বেশি এই খাবারটি ভাল লাগত।
আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ১০৪ ভারতীয় নাগরিককে বিতাড়িত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। বুধবার মার্কিন সামরিক বিমানে করে তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ৩৫ জন হরিয়ানার, ৩৩ জন গুজরাতের, ৩১ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন উত্তরপ্রদেশের এবং ২ জন মহারাষ্ট্রের বলে জানা গেছে।
১ কোটি টাকা খরচ করেও স্বপ্নভঙ্গ
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশিরভাগ অভিবাসী সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন এবং মেক্সিকো সীমান্তে আটক হন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিতাড়িত ৩৩ গুজরাতির মধ্যে একটি পরিবার আমেরিকায় প্রবেশের জন্য দালালকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিল।
এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “পরিবারটি প্রতারিত হয়েছে। তারা যে ব্যক্তিকে টাকা দিয়েছিল, সে তাদের আমেরিকায় পৌঁছানোর আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা পারেনি।”
গুজরাত থেকে মানব পাচার
এই ঘটনা নতুন নয়। গুজরাতের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ডিংচা গ্রামের এক পরিবারের চার সদস্য—দুই নাবালক সন্তানসহ—যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হয়। ওই পরিবারটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য দালালকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েছিল।

গুজরাতের গ্রামগুলোর ‘আমেরিকান স্বপ্ন’
পাটেল পরিবার মৃত্যুর পর তদন্তে উঠে আসে, ডিংচা ও আশপাশের গ্রামগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়াকে “প্রেস্টিজ ইস্যু” হিসেবে ধরা হয়। অনেক পরিবার নিজেদের জমি-সম্পত্তি বিক্রি করেও সদস্যদের আমেরিকায় পাঠানোর চেষ্টা করে।
মানব পাচারকারীরা এই ‘আমেরিকান স্বপ্ন’কে কাজে লাগিয়ে নিরীহ মানুষদের প্রতারণা করছে। তারা ভিসিটিং ভিসায় কানাডা বা মেক্সিকো পাঠিয়ে, সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার সমাধান না হলে আরও অনেক ভারতীয় আমেরিকায় যাওয়ার পথে বিপদের মুখে পড়তে পারে।