উচ্চ গতিতে (১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়) সফল পরীক্ষার পর, মে মাস থেকে চালু হতে চলেছে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন পরিষেবা। জানুয়ারি শেষে ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার পর এই ট্রেনগুলি রেল সুরক্ষা কমিশনারের চূড়ান্ত মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে যাবে। অনুমোদন পাওয়ার পর, নিয়মিত পরিষেবার জন্য এগুলি রেল পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে রেল মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনগুলির মাধ্যমে বর্তমানের রাজধানী এক্সপ্রেস ও শতাব্দী এক্সপ্রেস পরিষেবার তুলনায় ২-৪ ঘণ্টা কম সময় লাগবে। উন্নত গতি, আরামদায়ক ভ্রমণ এবং কার্যকর ব্রেকিং সিস্টেমের কারণে যাত্রীরা পাবেন ঝাঁকুনিমুক্ত অভিজ্ঞতা।
বর্তমানে মুম্বই-দিল্লি রুটে অন্য ট্রেনগুলির গড় গতি ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যেখানে তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিমি। বন্দে ভারত ট্রেনগুলি উন্নত ডিজাইন ও উচ্চ গতির কারণে এই রুটে উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড হিসেবে বিবেচিত হবে।
তবে, ভাড়া অনেকটা বেশি হওয়ার কারণে নতুন বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনগুলি যাত্রী সংখ্যায় বড়সড় বৃদ্ধি দেখতে পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্দে ভারত চেয়ার কার পরিষেবার ভাড়াও অন্যান্য চেয়ার কার পরিষেবার তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ বেশি হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্দে ভারত স্লিপার পরিষেবা মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে পারে। যাঁরা আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সামান্য বেশি অর্থ দিতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, দীর্ঘমেয়াদে রেল মন্ত্রকের পরিকল্পনায় রয়েছে অমৃত ভারত ট্রেন পরিষেবা, যা বড় শহরগুলির মধ্যে সংযোগ আরও উন্নত করবে। রেলমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী কয়েক বছরে নতুন প্রজন্মের অমৃত ভারত ট্রেন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্রেনগুলি ভবিষ্যতে রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের জায়গা দখল করতে সক্ষম হবে।
প্রসঙ্গত, বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনগুলির ডিজাইন অত্যন্ত আধুনিক, যেখানে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় দরজা, আরামদায়ক আসন, অনবোর্ড WiFi এবং বিমানের মতো অভ্যন্তরীণ কাঠামো। এই পরিষেবা ভারতীয় রেল ব্যবস্থায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
