এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। সেই তালিকায় প্লাস্টিক ফুল কেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? বুধবার কেন্দ্রের উদ্দেশে এমন প্রশ্নই ছুড়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট।
বম্বে হাইকোর্টর প্রধান বিচারপতি অলোক আরাধে এবং বিচারপতি ভারতী ডাংরের বেঞ্চ কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে, তারা কি নিশ্চিত যে প্লাস্টিক ফুল পুনর্ব্যবহারযোগ্য বা বায়োডিগ্রেডেবল? আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামার প্রসঙ্গ তুলে জানায়, নিষিদ্ধ বস্তুগুলোর তালিকায় প্লাস্টিক ফুল নেই। সেক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
আদালত গ্রোয়ার্স’ ফ্লাওয়ার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (জিএফসিআই)-র দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি করছিল। সংস্থাটি প্লাস্টিক ফুলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
আদালত কেন্দ্রের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গ টেনে বলে, যে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় বা বায়োডিগ্রেডেবল নয়, তা নিষিদ্ধ। এরপরই বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, তাহলে প্লাস্টিক ফুল এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা যায় না কেন?
আবেদনকারী সংস্থাকে কেন্দ্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্লাস্টিক ফুল সাধারণত ৩০ মাইক্রন পুরু হয়, যেখানে কেন্দ্রীয় ও মহারাষ্ট্র সরকার ১০০ মাইক্রনের কম পুরুত্বের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞায় প্লাস্টিক ফুলের কথা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তাই ১০০ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিক ফুল নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
গ্রোয়ার্স’ ফ্লাওয়ার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট অনুসারে, তারা স্বাধীন ফুলচাষি, ফুল গাছের রফতানিকারক, উপকরণ সরবরাহকারী, ফুল বিক্রেতা, বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের সজ্জাকারী এবং ফুল বিপণন শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পক্ষের একটি সংগঠন।