ট্যাব-কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ১৬ দফা কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতর। উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা সরাসরি পাঠানোর আগে তথ্য যাচাই থেকে শুরু করে লেনদেনের প্রতিটি ধাপ সুনিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকার মূল দিকগুলো
১. তথ্য যাচাই: উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য দু’বার যাচাই করতে হবে।
২. পাসবই বা ক্যানসেল চেক: টাকা পাঠানোর আগে ব্যাঙ্ক পাসবইয়ের প্রথম পাতা বা ক্যানসেল চেক সংগ্রহ বাধ্যতামূলক।
৩. আইএফএসসি যাচাই: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তালিকা দেখে উপভোক্তার ব্যাঙ্কের আইএফএসসি যাচাই করতে হবে।
৪. একক অ্যাকাউন্ট: একটি অ্যাকাউন্টে একাধিক উপভোক্তার নাম থাকা চলবে না।
৫. অফলাইন তথ্য আপলোড: অফলাইনে জমা পড়া তথ্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে যাচাই করতে হবে।
৬. সফটওয়্যার আপডেট: টাকা পাঠানোর পোর্টাল সর্বশেষ ভার্সানে আপডেট রাখতে হবে।
রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, এবং অন্যান্য প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সব সময়েই ভোটারদের আস্থা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক ট্যাব-কাণ্ডে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরে এই পদক্ষেপ নবান্নের ভাবমূর্তি রক্ষার কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থ দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই পদক্ষেপগুলি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে এই নির্দেশিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগকে মোকাবিলা করতে এবং জনগণের আস্থা ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ধারণা।
উপভোক্তাদের জন্য সুবিধা
নতুন নির্দেশিকার মাধ্যমে উপভোক্তারা সরাসরি উপকৃত হবেন। অর্থ দফতরের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক লেনদেন ব্যর্থ হলে তার দ্রুত সমাধান করা হবে। পাশাপাশি, উপভোক্তাদের ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে লেনদেনের তথ্য জানানো হবে।
নবান্নের এই উদ্যোগ রাজ্যের প্রকল্পগুলির স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এর ফলে ভবিষ্যতে ট্যাব-কাণ্ডের মতো বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নমুখী ভাবমূর্তি বজায় থাকবে।