পশ্চিমবঙ্গে স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পোর্টালের (CAP) মাধ্যমে আবেদনকারী ৩,০৯,৬৬৭ জন যোগ্য প্রার্থীর জন্য ৪,০২,৫৫৭টি কলেজ সিট বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি যোগ্য আবেদনকারী ইতিমধ্যেই একটি করে আসন পেয়ে গিয়েছেন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে আসন নিয়ে প্রতিযোগিতা হতে পারে।
রাজ্যের মোট স্নাতক সিট ৯.৫ লক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এর মধ্যে প্রায় ৫.৪ লক্ষ সিট এ বছর শূন্য থেকে যেতে পারে। কারণ মাত্র সাড়ে চার লক্ষের কিছু বেশি আসন দিয়েই CAP-এর সব প্রার্থীকে কভার করা সম্ভব হয়েছে। একই প্রার্থীর একাধিক কলেজে ভর্তির কারণে আরও কিছু আসন ফাঁকা হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা সিউলি সরকার বলেন, “আমাদের কলেজের ৮৮টি আসন দ্রুত পূরণ হয়ে গেছে, যা আশাব্যঞ্জক। দেরিতে ভর্তি শুরু হলেও এ বছর এক মাসের মধ্যে ক্লাস শুরু হয়ে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা আর কলেজ পাল্টাবে না। এর ফলে আসন আটকে রাখার প্রবণতাও রোধ হবে।”
উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, এ বছর প্রার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় কম। কারণ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা ও উত্তীর্ণ হওয়ার সংখ্যা কমেছে। সংস্কৃত, দর্শন, এমনকি কিছু বিজ্ঞান বিষয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা প্রতি বছরই কমছে। এর সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়ার দেরি যুক্ত হওয়ায় CAP প্রার্থীদের কলেজ ভর্তির হার প্রভাবিত হয়েছে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করলে এই ঘাটতি কিছুটা পূরণ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
অন্য এক কলেজের অধ্যক্ষের মতে, “প্রযুক্তিগত গোলযোগও বড় সমস্যা। আশা করছি সোমবারের মধ্যে তা মিটবে। তবে এই কারণে বেশ কিছু আসন ফাঁকা থেকেই যাবে।”
অন্যদিকে, ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পেয়ে স্বস্তিতে। মলয়শ্রী মণ্ডল নামে এক প্রার্থী সংবাদমাধ্যকে বলেন, “আমি লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করব। যদিও আমি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিলাম, ফল সোমবার বেরোবে। তবে সেই ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করব না। যদি সেখানে সুযোগ পাই, তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”