কলকাতা: ভূপতিনগরে এনআইএ অভিযান নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ভূপতিনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির। অন্য দিকে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার এনআইএ-এর সমন খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ আটজন তৃণমূল নেতা।
ঘটনায় প্রকাশ, সোমবার রাতে ভূপতিনগর থানার ওসির সঙ্গে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথের বাদানুবাদের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করেন, ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ ছাড়া তাঁর অফিসে ঢুকে এক বিজেপি নেতাকে পাকড়াও করতে চাইছে পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফে ওই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ওই ওসির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন বিধায়ক।
এ দিকে, সুবীর মাইতি, মানবকুমার পাড়ুয়া ও নবকুমার পান্ডা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠিয়েছে এনআইএ। এ বার তারই রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল নেতৃত্ব। মামলাকারীদের আইনজীবীর তরফ থেকে রক্ষাকবচের আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতে হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। এনআইএ-এর কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ এপ্রিল।
প্রসঙ্গত, দু’বছরের পুরনো ভূপতিনগর বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে গত শনিবার আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকেরা। এনআইএ-র টিমের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। এনআইএ আধিকারিক এবং সিআরপি জওয়ানদের বিরুদ্ধে পাল্টা শ্লীলতাহানি, ভাঙচুরের লিখিত অভিযোগ করেন এনআইএ-র হাতে ধৃত তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানার স্ত্রী মণি জানা।
পুরো ঘটনা নিয়ে তরজা ক্রমশ বাড়ছে। তৃণমূল, বিজেপি উভয় শিবিরই নিজের মতো করে একে অপরকে আক্রমণ শানাচ্ছে। ভোটের মুখে এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্য়েই সব নজর ভূপতিনগরের দিকে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আবেদন খারজি হতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেজরিওয়াল