Home খবর রাজ্য রাম-বাম জোট খারিজ, পঞ্চায়েত নিয়ে কড়া বার্তা বিমানের

রাম-বাম জোট খারিজ, পঞ্চায়েত নিয়ে কড়া বার্তা বিমানের

0

কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে চর্চায় রাম-বাম জোট! এক দিকে মমতা-বিরোধী মহাজোটের আহ্বান শুভেন্দু অধিকারীর। অন্য দিকে, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে প্রত্যাখ্যান করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কড়া বার্তা বিমান বসুর।

সাম্প্রতিক কয়েকটা স্থানীয় স্তরের ভোটে উঠে এসেছে তথাকথিত রাম-বাম জোট প্রসঙ্গ! হাওয়ায় ভেসেছে নন্দকুমার মডেল। শেষ সাগরদিঘি উপনির্বাচনেও তৃণমূলকে রুখতে বিরোধীদের এক বৃহত্তর অলিখিত জোটের চর্চা চলল বেশ কয়েক দিন। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নতুন এই রাজনৈতিক সমীকরণ কি বাড়তি মনোবল জোগাবে বিরোধীদের?

রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থান। তবে শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতেই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোটারদের একজোট হওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রায়শই শোরগোল পড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলের জেতা আসন থেকে জয় ছিনিয়ে নেন। প্রায় ২২ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়। ২০১১ সাল থেকে দখলে থাকা আসন হাতছাড়া হওয়ার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী করে সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির জোটকে। এই তত্ত্বে সিলমোহর দিয়েছেন খোদ তৃণমূলনেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকবিরোধী সাধারণ ভোটারদের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোটেও এই ভাবে জোট করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অনেক দখল করবে বিরোধীরা। বিরোধী দলগুলির নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদেরও তাতে সায় রয়েছে। যদিও দলীয় উচ্চ নেতৃত্ব গা বাঁচানোর চেষ্টা আপ্রাণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

শোনা যায়, নন্দকুমারের পর পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, মহিষাদল-সহ আরও কিছু সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম জোটের হাত ধরেই আপাত সাফল্য এসেছিল! তা সত্ত্বেও দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। গত জানুয়ারিতে তিনি দিঘায় দলের এক সমাবেশে বলেন, “যদি কেউ মনে করেন যে, বিজেপিকে দিয়ে তৃণমূলকে হটানো যাবে বা উল্টো দিকেও কিছু আছেন তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপিকে রুখতে হবে— এই রকম কেউ থাকলে লাল ঝান্ডার পার্টিতে তাঁর জায়গা নেই। এটা বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে সব জায়গায়”। অর্থাৎ, তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাম-বাম জোটে সমর্থন নেই আলিমুদ্দিনের। অন্য দিকে, বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতারা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তব ছবিটাকে পুরোপুরি অস্বীকার করতে পারছেন না। যেমন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটু অন্য রকম ভাবে বলেছেন, তাঁর জয়ে ‘হিন্দু-বামপন্থীদের’ হাত হয়েছে।

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের পর্যবেক্ষণ, নন্দকুমারের রেশ ধরেই পঞ্চায়েতেও সাফল্য মিলতে পারে বিরোধীদের। তবে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু স্পষ্ট করে আবারও জানিয়ে দিলেন, “সেটা হয়েছিল গত বছরে। গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। অনেক কিছুই সাফা হয়ে গিয়েছে। বিজেপি হোক বা তৃণমূল, কোনো ক্ষেত্রেই কারও সঙ্গে বোঝাপড়া করে লড়াই-সংগ্রাম পরিচালিত হবে না”। টিভি-৯ বাংলার এক সাক্ষাৎকারে বিমান বসু আরও বলেন, “যারা এটা করেছে তারা রাজনীতির ‘র’ বোঝে না। আমরা কখনও এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি সমর্থন করি না। পছন্দ করি না। যারা এ রকম কাজ করতে চায় তারা যেন আমাদের পার্টিতে না থেকে অন্য পার্টিতে চলে যায়। সেটাই ভালো”।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version