Home খবর রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী, রায় ঘোষণা হাইকোর্টের

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী, রায় ঘোষণা হাইকোর্টের

0

কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষায় বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের একটি ডিভিশন বেঞ্চের একটি রায়ে ৭ জেলায় এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও মনোনয়ন জমা করার সময় বাড়ানোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে আদালত। সিদ্ধান্তটি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

কোন ৭টি জেলায় এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী

প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে চলছিল পঞ্চায়েত মামলা। শুনানি শেষে রায়দান হল এ দিন। হাইকোর্টের অভিমত, ভয়মুক্ত পরিবেশের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিত কমিশনের। যে ৭টি জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো হল উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, বীরভূম, জলপাইগুড়ি।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ দেবে কেন্দ্র

৭টি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেও বাকি জেলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে তারপর কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে। যেখানে রাজ্য পুলিশের কর্মীর অভাব রয়েছে সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কমিশন বাহিনী চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার বাহিনী পাঠাবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য দেবে না। কেন্দ্রকেই দিতে হবে।

ভোটগণনাতেও একই সুরক্ষা

একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে না, সেখানে নির্বাচনী কর্মীদের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কমিশনকে নিতে হবে। সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রয়োজনে সেখানে ভিডিয়োগ্রাফিও করতে বলা হয়েছে। একই রকম ভাবে ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার

পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতিরা। বেঞ্চ বলেছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট।

মনোনয়নের সময়সীমা অপরিবর্তিত

তবে নিরাপত্তা নিয়ে নির্দেশ দিলেও পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট। মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছেড়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভোট সংক্রান্ত গোটা বিষয়টাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের উপর নির্ভর করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়াও আইন অনুযায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন: খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, চলছে সমুদ্রে টহল, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় জোরদার প্রস্তুতি

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version