কলকাতা: এ বার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ে নয়া পন্থা ঘোষণা করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাজভবনের সামনে ধর্নামঞ্চ থেকে তিনি পরামর্শ দিলেন, বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করে বকেয়া চেয়ে নিন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে ধরনা মঞ্চ থেকেই সুকান্তর মোবাইল নম্বর বিলি করলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা এনেই ছাড়বেন, বারবার এমনই হুঙ্কার দিয়েছেন অভিষেক। রাজ্যের শাসকদল দিল্লিতে পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেছে তাঁর নেতৃত্বে। এ বার বকেয়া টাকা আদায়ে নতুন পন্থা তৃণমূলের।
শাসকদলের অভিযোগ, রাজ্যের ২০ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেও প্রাপ্য টাকা পাননি। যাঁরা নিজেদের টাকা থেকে বঞ্চিত, তাঁদের উদ্দেশে নতুন কৌশল বাতলে দিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সুকান্ত মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা সকলে এই নম্বরে ফোন করে বলুন, আপনার এত ক্ষমতা, আপনি বললেই টাকা চলে আসবে। তাহলে আপনি দয়া করে আমাদের টাকাটা আনিয়ে দিন। দু’বছর ধরে আমাদের বেতন আটকে আছে।’’
একই সঙ্গে অভিষেক আরও বলেন, “আপনার ফোন করুন। ফোনটা রেকর্ড করুন। তার পর সেটা ফেসবুকে দিন। মানুষ জানুক উনি কী বলছেন। উনি নিজে বলেছেন একটা ফোন করলে টাকা চলে আসবে। উনি ফোন করে যদি টাকা এসে যায় তা হলে আমাদের আর ধর্নায় বসার প্রয়োজন নেই। আমরা ধর্না তুলে নেব।”
তবে, বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ফোন করার সময় যাবতীয় শালীনতা বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর অনুরোধ, ‘‘ওঁকে (সুকান্তকে) সকলে ফোন করুন। ভদ্র ভাবে বলুন টাকা আনিয়ে দেওয়ার কথা। বার বার বলছি, ফোন করে ভদ্র ভাবে কথা বলুন।’’
এ দিন ধর্নামঞ্চ থেকে একটি অডিয়ো রেকর্ডিং শুনিয়ে অভিষেক বিস্ফোরক এক অভিযোগ করেন। ঘটনায় প্রকাশ, ওই অডিয়োয় সুকান্তকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “২ হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে। ওনাকে কিছু করতে হবে না। সুকান্ত মজুমদার একটা ফোন করে দেবে, সব টাকা চলে আসবে চিন্তার কিছু নেই।”
এরপরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুকান্তর নম্বর শেয়ার করার কথা বলেন অভিষেক। এই ঘোষণা শুনেই দেখা যায় একটি কাগজ হাতে এগিয়ে আসেন রাজীব। দু’টি ফোন নম্বর দিয়ে রাজীব বলেন, যদি ফোনে না পান, যদিও এই নম্বরগুলো এখন আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি ব্যবহার না করেন, তা হলে তাঁর উচিত এগিয়ে এসে নিজের নম্বর দিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন: রোদ ঝলমলে আকাশ! বর্ষার বিদায়বেলায় এখনই পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টির আশঙ্কা